
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মার্চ ফর ডেমোক্রেসির ঘোষণা দেওয়ার পর গতকাল রাত থেকে খালেদা জিয়ার বাড়ির আশেপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
টানা অবরোধের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানস্থ নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণার ঘণ্টা পাঁচেক পর বাংলামোটরে পুলিশবাহী গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে এক কনস্টেবলের মৃত্যু হলে গভীর রাতে গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাড়ি ‘ফিরোজা’র সামনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার নূরুল আলম জানান, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার বাসায় আগের চেয়ে দ্বিগুণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মূলত বিরোধীদলীয় নেতার নিরাপত্তার জন্যই এ ব্যবস্থা।”
এদিকে সরেজিমন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বেগম জিয়ার বাড়ির সামনে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিবন্ধকতা দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার লুত্ফুল কবির জানান, খালেদা জিয়ার বাসার সামনে অতিরিক্ত এক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে বর্তমানে দুই প্লাটুন পুলিশ রয়েছে।
খালেদা জিয়ার বাসভবন ও এর আশপাশের এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান দূতাবাসের সামনেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ২৯ ডিসেম্বরের কর্মসূচি সম্পর্কে জানিয়ে সরকারের ‘সহযোগিতা’ চেয়ে সকালে মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক চিঠি পৌঁছে দেয় বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “২৯ ডিসেম্বর নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে গণতন্ত্র অভিযাত্রা কর্মসূচি হবে। এতে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া থাকবেন। আমরা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে এই কর্মসূচি সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছি।
ফারুক জানান, সমাবেশে মাইক ব্যবহারের জন্যও অনুমতি চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে। সরকারের ‘সহযোগিতা চেয়ে’ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছেও আলাদা চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
এমআর/ এআর