
বেসরকারি খাতের ১২ টি প্রতিষ্ঠান বিদেশি ব্যাংক থেকে প্রায় নয় কোটি ডলার ঋণ নেবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকা। মঙ্গলবার এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বিদেশি ঋণ সংক্রান্ত বাছাই কমিটি। বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত কোম্পানি ৮১তম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ নেবে কালার সিটি লিমিটেড। ঋণের পরিমাণ দুই কোটি ১০ লাখ ডলার। এর পরেই আছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজলিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি এক কোটি ৪৮ লাখ ডলার ঋণ নেবে। রাজ লংকা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড অনুমোদন পেয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ডলার ঋণ গ্রহণের।
বাকী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফ্যাশন ফোরাম লিমিটেড ৪৫ লাখ ডলার, সাফা স্যুয়েটার ৪০ লাখ ডলার, আমান নিটিং লিমিটেড ৩৩ লাখ ডলার, মাসি হাতা স্যুয়েটার লিমিটেড ৬৯ লাখ ডলার, নিপ্রো জিএমআই ফামা লিমিটেড ৫১ লাখ ডলার, আগুরি ব্রডব্যাড লিমিটেড ১০ লাখ ডলার ও গুড রিচ স্যুয়োটার লিমিটেড ১৩ লাখ ডলার ঋণ নেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়, বিনিয়োগ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুমোদিত এ প্রকল্পে সর্বোচ্চ সুদের হার লন্ডন আন্তঃব্যাংকের (লাইবর) প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ঋণের মেয়াদকাল ছয় মাস।
অনুমোদিত বিদেশি ঋণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪ কোটি ডলার পেয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিল লিমিটেড। কমিটির সভায় সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড পেয়েছে ৩ কোটি ডলার, সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ৫০ লাখ, মিডল্যান্ড পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড পেয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ, সায়হাম টেক্সটাইল লিমিটেড ১ কোটি ২২ লাখ, পারতালি টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি লিমিটেড ১ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার, আম্মান বাংলাদেশ লিমিটেড ৮৬ লাখ ১০ হাজার, জেএম ফ্যাব্রিকস ৭৩ লাখ ২০ হাজার, হোলসিম সিমেন্ট ৬০ লাখ এবং ইমপ্রেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড পেয়েছে ৩৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
বৈঠকে জানানো হয়, আমদানি-রপ্তানি ভারসাম্য ও ডলার মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বেসরকারি খাতের আরো বিদেশি ঋণ অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।