নির্বাচন বানচাল করার কোনো শক্তি খালেদার নেইঃ ১৪ দল

  • Emad Buppy
  • December 24, 2013
  • Comments Off on নির্বাচন বানচাল করার কোনো শক্তি খালেদার নেইঃ ১৪ দল

14-DOLআসন্ন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হবেই, এই নির্বাচন বানচাল করার কোনো শক্তি খালেদা বা অন্য কোনো শক্তির নেই বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল।

বিএনপি যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতকে বাঁচাতে নির্বাচন বর্জন করেছে মন্তব্য করে এই নির্বাচন বানচালের চেষ্টাকে প্রতিহতের ও ডাক দেন তারা।

মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৪ দলের এক প্রতিবাদ সভায় তারা এ সব কথা বলেন।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধ ডেকে নিজেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি জামায়াতের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে দেশে জ্বালাও পোড়াও করে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।  কিন্তু বিএনপি-জামায়াত দূরের কথা, কোনো শক্তি নেই নির্বাচন বানচাল করার। সঠিক সময়েই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবেই।

জামায়াতের প্রতি খালেদার যতই দরদ থাক না কেন জামায়াতকে এ দেশে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। কারণ তারা পাকিস্তানের দালাল। আর বিএনপি এখন পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।

সমাবেশে আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগামি ৫ জানুয়ারি  নির্বাচন হবে। তাতে কেউ আসলে আসুক আর না আসুক। কিন্তু এই নির্বাচন বানচাল করার শক্তি কারও নেই। খালেদা জিয়া যদি নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করে বা কোন অগণতান্ত্রিক কাজ করার চেষ্টা করে তবে আমরা দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, খালেদা জিয়া জামায়াত ছাড়তে পারবেনা তাই তিনি নির্বাচনে আসতে পপারছেননা। তিনি যদি জামায়াতকে ছাড়তে পারেন তবেই তিনি নির্বাচনে আসবেন।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমাদের দেশের মানুষ নির্বাচনকে উৎসব হিসেবে নিয়েছে। তারা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু বিরোধী দল তা প্রতিহত করতে চায়। এ কারণে তারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে। কিন্তু তাদের এই চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, আপনার নির্বাচনে না আসুন। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার থেকে আপনারা তাদের বঞ্চিত করতে পারেন না।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতকে বাচানোই বিএনপির লক্ষ্য। এ জন্য কাদের মোল্লার রায় কার্যকরের পর পাকিস্তানের নিন্দা প্রস্তাব পাশ করার পরেও তারা কোনো প্রতিবাদ করে নাই।

এ সময় বিদেশি পর্যবেক্ষক না আসার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনের কোনো পর্যবেক্ষক দরকার নেই। এ দেশের মানুষই পর্যবেক্ষক।

সমাবেশে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।