
আগামি ২০১৪ সালে তেল আমদানি বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জানিয়েছে আসছে বছর ২০১৩ সালের তুলনায় ৯ শতাংশের বেশি জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দি স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বিপিসির বরাত দিয়ে এ কথা বলা হয়েছে।
বিপিসির এক কমকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামি বছরে ১৩ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।গত বছরের তুলনায় এ আমদানির পরিমান ৯ শতাংশের বেশি
স্টার অনলাইনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে আবু ধাবি জাতীয় তেল কোম্পানি থেকে ৭লাখ টন এবং সৌদির অ্যারামকো থেকে ৬ লাখ টন আমদানি করবে বিপিসি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে চট্রগ্রামের ইস্টার্ণ রিফাইনারির জন্য দুইটি কোম্পানি থেকে ১২ লাখ টন জ্বালানি তেল ক্রয় করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত জ্বালানি তেলে চাহিদা পুরণ করতে ইতিমধ্যেই ৯ টি কোম্পানির সাথে আলাপ আলোচনা শেষ করেছে বাংলাদেশ। এর আওতায় রয়েছে কুয়েত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, মালয়েশিয়র পেট্রোনাস, মিশরের ইস্ট ওয়েল রিফাইনারি, ইমিরেটস ন্যাশনাল তেল কো্ম্পানি, ফিলিপাইনস ন্যাশনাল তেল কোম্পানি, ভিয়েতনামে পেট্রোলিমেক্স, ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিয়াক পোসাকো, মালদ্বীপের ন্যাশনাল তেল কো. এবং ইউনিপেকের সাথে।
এদিকে, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস দিন দিন কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিদ্যুত সংকট বেড়ে চলেছে। ফলে এসকল চাহিদা মেটাতে জ্বালানি তেলের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া সরকার বিপিসিকে আমদানি দামের চেয়ে স্থানীয় বাজারে কম দামে জ্বালানি তেল বিক্রির কথা বলেছে।
বিপিসি জ্বালানি তেল আমদানির এই মুল্য পরিশোধ করতে ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিয়েছে।