পাকিস্তানের নিন্দা প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ

pakistanযুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কাদের মোল্লার ফাঁসির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আ্ওয়ামীপন্থি কয়েকটি সংগঠন।

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একাধিক মাববন্ধনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ তাঁতী লীগ,  আওয়ামী সমবায় লীগ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ (বাকবিশিস) এবং বাংলাদেশ পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একাত্তরে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ দেশের ৩০ লাখ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ। আর নিরীহ বাঙ্গালীর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল এ দেশেরই দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল শামস।

তারা বলেন, ফাঁসির সময় নির্ধারিত হওয়ার পরও কাদের মোল্লাকে পুন:আপিলের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তারপরও পাকিস্তান অনর্থক মাথা ঘামায়।

কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৪২ বছর পর সেই কুখ্যাত রাজাকারদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, জাতি আজ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। কাদের মোল্লার ফাঁসির পর পাকিস্তানের পার্লামেন্টে শোক প্রস্তাবে প্রমাণিত হয়েছে আজও পাকিস্তানের ওপর রাজাকারদের আনুগত্য কমেনি।

যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য বিএনপি লাগাতার হরতাল-অবরোধ করছে এমন অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়া এখনও রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। এভাবে তিনি রাজাকারদের বাঁচাতে পরবেন না।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা পাকিস্তানের পার্লামেন্টের শোক প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাকিস্তানকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

এ সময় বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ পাকিস্তানের ইমরান খানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন তাঁতী লীগের আহবায়ক এনাজুর রহমান চৌধুরী, পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ও সাবেক বিচারপতি এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন, স্বাচিব সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সমবায় লীগের সভাপতি আমিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এম জি আজম, বাকবিশিস এর সভাপতি ড.  নুর মো: তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের প্রভোস্ট ড. আজিজুর রহমান, সিনেট সদস্য অধ্যাপক আব্দুল বারী প্রমুখ।

জেইউ/