জাল নোটের জালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত

rupe

fake_rupeeবাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রতি বছর কয়েক হাজার কোটি টাকার জাল নোট পাচার হয়ে যায় ভারতে। চলতি বছরে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ রপির জাল নোট উদ্ধার করেছে ভারত। জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচার হওয়া জাল নোটের ৯০ শতাংশই ঢোকে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে।

 

টাকার লোভে জাল নোট চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বেকার যুবকরা। রীতিমত অফিস খুলে মাস-মাইনেতে কর্মী নিয়োগ করে জাল নোটের কারবার চলে।

জাল নোটের বিস্তার কতটা ব্যাপক তা অনায়াসে বোঝা যায় গত তিন বছরের ধরা পড়া জাল নোটের হিসেব দেখলে। ২০১০ সালে জাল নোট পাচার চক্রের ৪৬ জন ধরা পড়ে। মামলা হয় ১৮ টি। উদ্ধার হয়েছে ৯৪ লাখ  ৯৩ হাজার ৫০০ রুপি। ২০১১ সালে জাল নোট নিয়ে ১৭টি মামলা হয়, গ্রেপ্তারর করা হয় ২৬ জনকে। উদ্ধার হয় ১ কোটি ৪১ হাজার ৫০০ । ২০১২সালে  উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমান কম নয়, ১ কোটি ৯ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ রুপি।

ওই ঘটনায় ১০ টি মামলা হয় এবং ২০ জনকে গ্রেপ্তাতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যে পরিমাণ টাকা ঢোকে তার খুব নগন্য অংশই ধরা পরে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জাল নোটের সিংহভাগ পাচার করতে চক্রের লোকেরাই পুলিশকে খবর দিয়ে দলের চুনোপুঁটি কয়েকজনকে ধরিয়ে দেয়।

৪০, ৬০ বা ৮০ টাকায় মেলে ১০০ টাকার জাল নোট। টাকার লোভে জাল নোটের জালে জড়িয়ে পড়েন অনেকেই। জাল নোট কারবারিদের নেটওয়ার্ক বেশ বড়। রীতিমত অফিস খুলে জাল নোট ছড়ানোর কারবার চালায় তারা। মালদার মহব্বতপুরে অনেক বাসিন্দাই জাল নোট কারবারীদের অফিসে মাসমাইনের চাকরি করতেন। যারা পুলিশী অভিযানে ধরা পড়ে এখন জেলে আছেন।

সূত্রের খবর সীমান্তে টাকা পাঠানোর কৌশলও নানান ধরনের। সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের জমির কিছু অংশ বাংলাদেশে পড়ে। চাষ করতে যাওয়া-আসার সময় বাংলাদেশ থেকে তাদের সঙ্গেই আসে জাল টাকা। কখনওবা সীমান্তের ওপার থেকে জাল নোট এপারের নির্দিষ্ট জায়গায় ছুঁড়ে দেওয়া হয়. এভাবেই চলে জাল নোটের কারবার।