
ঠিক গল্পের মতো ঘটনাটি। বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত। ভালো হয়ে উঠতে বাইপাস করার বিকল্প নেই। অথচ অতো টাকাও নেই হাতে। আর অল্প সময়ের মধ্যে এতোগুলো টাকাও জোগাড় করা সম্ভব নয়। অথচ বাবাকে বাঁচাতেই হবে। শেষতক বাবার অপারেশনের টাকা জোগাতে চুরি করলেন তিনি।
ভারতের ত্রিপ্পালুর বাসিন্দা ওই ছেলেটি তারই এলাকার এক ধনী ব্যক্তির বাড়ি থেকে চুরি করে প্রায় আট লাখ রুপি মূল্যের স্বর্ণালংকার।
ঘটনাটিকে অনেকে দেশটিতে কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া সিনেমার ঘটনার সাথে তুলনা করছেন। তাদের মতে ‘বরফি’ সিনেমাটিতে রণবীর কাপুরের অনুকরণে ছেলেটি হয়তো এমনটি করে থাকবে।
তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। তাদের মতে, রাধাকৃষাণের পরিচিতদের মধ্যে কেউ এই কাজ করেছে এবং ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এই নাটক মঞ্চায়িত করছে।
আসলে ঘটনা যেটি ঘটেছে তাহলো, রাধাকৃষাণের বাসা থেকে রোববারে চুরি হয় ২৭২ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী মন্দিরে থাকার সুযোগে অলংকার সরানোর কাজটি করে নেয় ছেলেটি। চারদিন পর ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দরজা খুলেই তার চক্ষু-চড়ক গাছ রাধাকৃষাণের। সদরদরজার সামনেই প্যাকেটে মোড়ানো চুরি হওয়া স্বর্ণালংকারের প্রায় সবটুকু।
চুরি করা ওই অলংকার ছেলেটির বাবা একটি চিরকুটসহ ফিরিয়ে দিয়েছে। তিনি লিখেছেন, এখানে পুরোটা ফিরিয়ে দিতে পারিনি। ৪৮ গ্রাম পরে পরে তা ফিরিয়ে দেবেন বলে কথা দেন বাবা। তবে রাধাকৃষাণ বলেছেন, যদি চোরের বাবার দাবি সত্য হয় তবে তিনি অপারেশনের জন্য আর্থিকভাবে সাহায্য করবেন।
এদিকে ছেলের কাজের জন্য ক্ষমা চাওয়ার পরও মন গলছে না পুলিশের। পুলিশ আশেপাশে এলাকায় হৃদরোগীর সন্ধান করছে। কিন্তু এখনও পুলিশ সে ধরনের কাউকে খুঁজে পায়নি।