দিনাজপুর জেলার বিরামপুর সীমান্তে দক্ষিণ দাউদপুর সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরের জামালপুর থেকে ভারতীয় পুলিশ এক বাংলাদেশি ও এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে। বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পেতে বিএসএফ-বিজিবি’র পতাকা বৈঠক হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত ১০টায় বিরামপুর উপজেলার সীমান্তের দক্ষিণ দাউদপুর সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরের জামালপুরে ভারতীয় হিলি থানার পুলিশ ওয়ারেন্টের আসামি শ্রী অরুন কুমার (৩০) কে ধরতে ভীমপুর ক্যাম্পের বিএসএফকে সঙ্গে নিয়ে শ্রী অরুণ কুমারের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় ভারতীয় পুলিশ শ্রী অরুন কুমারসহ ওই বাড়ি থেকে বাংলাদেশি নাগরিক সুজন হোসেন ওরফে লালু(৩২) কে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে। আটককৃত ভারতীয় নাগরিক শ্রী অরুন কুমার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার জামালপুর গ্রামের শ্রী রাজ রিয়েলে পুত্র ও বাংলাদেশি নাগরিক সুজন হোসেন ওরফে লালু দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন মোজার পুত্র।
বাংলাদেশি নাগরিক সুজন হোসেন ওরফে লালু (৩২) চেয়ে ফুলবাড়ী ৪০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দাউদপুর ক্যাম্পের কমান্ডার হাবলিদার শাহাজালাল ভীমপুর ক্যাম্পের বিএসএফকে পত্র পাঠায়। পত্র পেয়ে বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহবান জানান। এরপর দুপুর ১২টায় দাউদপুর সীমান্তের ২৯০/২৭ এর নিকট আধা ঘণ্টা বিএসএফ-বিজিবি’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাক বৈঠকে ভারতের বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্বে দেন ভীমপুর ক্যাম্পের উপ-অধিনায়ক (টয়েসি) ওমেজ শ্রী সিং এবং বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্বে দেন দাউদপুর ক্যাম্পের কমান্ডার হাবলিদার শাহাজালাল, হাবিলদার সেলিম মির্জাসহ ৬ সদস্যের একটি দল। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ বিজিবিকে জানান, আমরা লালুকে ধরিনি। হিলি থানা পুলিশ ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে এসে ওই বাড়ি থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে তাকে চালান দিয়েছে।
লালুর পিতা মোজাম্মেল হোসেন মোজা জানান, বাসায় বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল চার্জ ও টিভি দেখার জন্য লালু ওই বাড়ি গেলে ভারতীয় পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী ৪০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) ফজলুল করিম আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে এসে ভারতীয় পুলিশ লালুকে ওই বাড়ি পেয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে চালান দিয়ে।
এআর