
সেকালে সাংবাদিকরা দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। একালে আমরা দলমতে বিভক্ত। ইউনিয়নের একটি ভাগ প্রগতিশীল আরেকটি ভাগ প্রতিক্রিয়াশীল। এসব না ভেবে দেশের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সাপ্তাহিক কাগজ কলম ও দি হরাইজন পত্রিকার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাল-সেকাল শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ইকবাল সোবহান আক্ষেপ করে বলেন, সাংবাদিকরা এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে এবং বিপক্ষে।
সাংবাদিক ইউনিয়নের দায়িত্ব সাংবাদিকদের অধিকার ও দাবি নিয়ে আন্দোলন করা নাকি দলীয় সংকীর্ণতার আবর্তে আবদ্ধ থাকা সাংবাকিদের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমাদের দেশের ও গণমাধ্যমের স্বার্থে একসাথে কাজ করা উচিত।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিয়ন বিভক্তি নিয়ে বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ঐক্য হতে হবে আদর্শের। সাংবাদিক হামলার প্রতিবাদে যারা নিন্দা জানান না তাদের সঙ্গে কোনো ঐক্য নেই।
ডিইউজে সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, যারা সাংবাদিক ইউনিয়ন ভেঙেছে তাদের বিচার করা হবে। প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তাদের বিচার করা হবে।
ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক বলেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন মত প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। সাংবাদিকদের লক্ষ্য হলো শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে অংশের সঙ্গে কোনো ঐক্য নয়।
আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-র প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ-সম্পাদক শাবান মাহমুদ, সাপ্তাহিক কাগজ কলমের সম্পাদক ইকবাল আজিজ বিজু, রুপালী ব্যাংকের পরিচালক ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদ, পুপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থপনা পরিচালক বিএম শওকত আলী প্রমুখ।
জেইউ