
জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায় কার্যকর ও এ নিয়ে পাকিস্থানের সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনার পরেও খালেদা জিয়া ও বিএনপি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় নি। তাদের এই নীরবতাই প্রমাণ করে তারা প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় হানিফ বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও পাকিস্থানের দালালদের চিরতরে এ দেশ থেকে উৎখাত করার জন্য আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী ও পাকিস্থানের দোসর বিএনপি জামায়াতকে এ দেশ থেকে উৎখাত করা হবে। এটাই আমাদের এবারের বিজয় দিবসের অঙ্গীকার।
এ সময় তিনি বিএনপির সঙ্গে যেসব মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাদের উদ্দশ্যে বলেন, আপনারা বিএনপির সঙ্গ ছেড়ে চলে আসুন। কারণ তারা ইতোমধ্যে পাকিস্থানের দালাল হিসেবে প্রমানিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা শেখ হাসিনার অধীনে না আসলেও তাদের অধীনে থাকবেন না। তাদের অধীনে থাকলে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করা হবে।
বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল বলে নিজেদের দাবি করলেও তারা যুদ্ধাপরাধীদেরকে বাঁচতে ও পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ-সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মতো এমন আন্দোলনতো কোনোদিন দেখি নি। কোনো নেতাকর্মী নেই। কোনো এক খোয়ার থেকে বিএনপি নেতারা অবরোধ ডাকছেন। তাদের তো মাঠেই খুজেই পাওয়া যায় না। তাদের খুঁজে বের করতে হবে। কি কারণে তারা বাংলাদেশকে শ্বশান বানাচ্ছে এর জবাব তাদের দিতে হবে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের সকল ব্যবসায়ীদের পাকিস্তানের পণ্য বিক্রি বন্ধ করা এবং সাধারণ মানুষকে পাকিস্তানের পণ্য ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানান।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সাধারণ-সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন, যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক-সম্পাদক গাজী সরোয়ার হোসেন বাবু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এমআইকে/এএস