
বাংলাদেশের পোশাক খাতে কর্মপরিবেশ উন্নয়ন,নিরাপদ ভবন,অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে কানাডা সরকারের পরে এবার বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ালো দেশটির শ্রমিক ইউনিয়নের একটি গ্রুপ। সম্প্রতি তারা ইউরোপভিত্তিক অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড ওয়ার্কার্স সেফটি-চুক্তিতে সই করতে হাডসনস বে কোম্পানি ও কানাডিয়ান টায়ার করপোরেশনসহ কানাডাভিত্তিক অন্যান্য খুচরা পোশাক বিক্রতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড এবং ভবন ধ্বসের ঘটনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে একর্ড জোটের প্রস্তাবকরা জানান,যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে তৈরি জোটের চুক্তির চেয়ে এটা আরও বেশি জোরদার হবে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে কানাডাভিত্তিক বেশ কয়েকটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চুক্তিতে সই করেছে।
এই চুক্তি আওতায় রয়েছে পোশাক কারখানায় নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি,শ্রমিক নিরাপত্তার বিতর্কিত বিষয়ের মধ্যস্থতা,বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবারও বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয়ের ব্যপারে আগ্রহী করে তোলার মতো বিষয়। ইউরোপের ১২৫ টির বেশি কোম্পানি একর্ডের এই চুক্তিতে সই করেছে।
অ্যাকর্ডের সাথে আরও যারা কাজ করবে তারা হচ্ছে ইউনিফর,কানাডার শ্রমিক ইউনিয়ন এবং ২৩ টি অন্যান্য সংস্থা।
তারা বলছে,যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক চুক্তিটি অ্যাকর্ডের তুলনায় খুব কমই স্বচ্ছতা দেখাতে পারবে।এছাড়া অ্যাকর্ড পোশাক কারখানা শ্রমিকদের সাথে সম্পৃক্ত থেকেই তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে যাবে।
তবে বুধবারে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্স এক বিবৃতি জানিয়েছেন,অ্যাকর্ডের মতো তাদের লক্ষ্যও একই এবং এটা অবশ্যই সহযোগিতা ও সমঝোতামুলক ।
কানাডিয়ান টায়ার কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এই বিবৃতিতে আরও জানান,আ্যলায়েন্স শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত করতে গত মাসে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়,আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং অ্যাকর্ডের সাথে কাজ করছে।
অ্যাকর্ডের এই চুক্তিতে সমর্থন দিতে হাডসন বে,কানাডিয়ান টায়ার,জায়ান্ট টাইগার, সিয়ার্স কানাডা,ওয়ালমার্ট কানাডা,ওয়াই.এম করপোরেশন,কানাডা ক্রেতা কাউন্সিলকে চিঠি পাঠিয়েছে কানাডিয়ান শ্রমিক ইউনিয়নসহ অন্যান্য সংস্থা।
এরা সবাই বর্তমানে আ্যলায়েন্সের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।এছাড়া ওয়াই.এম কোম্পানির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আরবান প্লানেট,ব্লুনোটস এবং সুজি শিয়ের ।
ওয়ালমার্টের একজন কর্মকর্তা জানান,আমাদের কোম্পানি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন,ইতিমধ্যে আমরা ২০০ কারখানার পরিদর্শন শেষ করেছি এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ৭৫ টি পরিদর্শন প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
হাডসন বে সুত্র জানায়,বাংলাদেশি শ্রমিকদের উন্নত মানের নিরাপত্তা দিতে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে যাচ্ছে অ্যালাএয়ন্স।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যালায়েন্সে সই করেছে ২৬ টি কোম্পানি।এদের মধ্যে রয়েছে গ্যাপ,মেসিজ,নডস্ট্রম,টার্গেট ও ওয়ালমার্ট ।