
বাম্পার ফলনের আশায় রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় আলু ক্ষেত পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা। গতবারের মতো এবারো আবহাওয়া অনূকূল থাকায় চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশা করছেন আলু চাষিরা। তবে ক্ষেত পরিচর্যায় শ্রমিক সংকটের কারণে বেশি শ্রমমূল্য দিতে হচ্ছে। শ্রমিকদের শ্রমমূল্য দুইশ টাকা হলেও শ্রমিক সংকটের কারণে শ্রমিকপ্রতি আড়াইশ টাকা দিতে হচ্ছে আলু চাষিদের।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ৩ হাজার ৩শ ৫ হেক্টর জমিতে কাঠিনাল, ডায়মন্ড, কপিসুন্দরি, দেশী, সোনালীসহ বিভিন্ন প্রজাতির আলুর চাষ হয়েছে।
উপজেলার আনোলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম আলী জানান, এবার আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় এবং বীজের গুণগতমান ভালো হওয়ার কারণে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। রোপনকৃত আলুর প্রায় ৯০ ভাগ গাছ গজিয়েছে বলে জানান তিনি।
আলু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ অঞ্চলের কৃষি জমির বেশি ভাগ জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আলু গাছে ছেয়ে গেছে পুরো মাঠ।
উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামের আলুচাষি বিশ্বনাথ বলেন, আলু পরিচর্যায় এটাই উপযোগি সময়। এবার ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি। বিগত বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে ব্যাপক পরিশ্রম করছেন তারা।
গোড়খাই গ্রামের সফল আলুচাষি জার্জিস হোসেন সোহেল বলেন, গত বছর তিনি ৫ একর ১ বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছিলেন। উৎপাদনও ভালো হয়ে ছিল। তবে বাজারে আলুর দাম কম থাকায় বড় ধরনের লোকসান হয়েছে। তবে এবার বাজারে আলুর দাম ভালো থাকালে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে তিনি আশা করেন। তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে ৬ একর জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলুচাষ করেছেন। এবার বাজারে আলু বীজের মান ছিল তাই সব আলু গজিয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো রয়েছে যা শেষ পর্যন্ত থাকলে বাম্পার ফলন হবে। গত বছর দাম ভালো না পেলেও এবার আলুর দাম ভালো হবে বলে মনে করেন সোহেল।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামছুল হক বলেন, উপজেলার আলু চাষিরা এখন আলুর ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় ফলন বাম্পার হবে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছে। কৃষকরা আলুর দাম ভালো পেলে আগামীতে আরো বেশি জমি আলু চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ হবে বলেতিনি জানান।
মাইদুল ইসলাম