রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে সুদ কমালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

rate of export growth become slow

Export_Itemরপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ)ঋণের সুদ হার এক শতাংশ সুদ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তায় ব্যবসা বাণিজ্য উৎপাদন ও রপ্তানি প্রবাহ অব্যাহত রাখতে রোববার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোববার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে সাক্ষাত করে ব্যবসা বাণিজ্যের ধারা অব্যহত রাখতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল থেকে সুদ হার কামানোর আহবান জানান। সেই সাথে তারা ঋণ শ্রেণীকরণের সময় বাড়ানোর জন্যও গভর্নরকে অনুরোধ করেন।

এরই প্রেক্ষিতে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড পলিসি বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে সকল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ,সাবেক সভাপতি আনিশুল হক,বিজিএমইয়ের সভাপতি আতিকুল ইসলাম,সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন,বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.কে সুর চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে,সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাই বর্তমানে তাদের সহযোগিতায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ)নীতিমালার অধীনে ঋণের সুদ হার ১ শতাংশ কমানো হয়েছে।এসব ঋণের সুদ লাইবর (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ)এর সঙ্গে দেড় শতাংশ যোগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

বর্তমানে ইডিএফ নীতিমালার আওতায়,লাইবরের সঙ্গে এক শতাংশ সুদ যোগ করে ব্যাংকগুলোকে অর্থায়ন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো আরো আড়াই শতাংশ সুদ যোগ করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ চার্জ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তাদের চার্জ এক শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে,বৈঠকে আরও আলোচনা হয়েছে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য আগামী চার মাসের জন্য অর্থের যোগান দেওয়া। যা আগামী দুই বছরে সমন্বয় করা হবে। বিশেষ সিসি ঋণ বাদে সব ধরনের ঋণ সুদ ছাড়া আগামী দুই বছরের জন্য ব্লক করা। সব ধরনের পোশাক শিল্প এবং এর সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সহযোগী শিল্পের ঋণ চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিক থেকে আগামী দুই বছরের জন্য শ্রেণীকরণ না করা। এলসি খোলা সহ অন্যান্য কাজে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ না করা। সব ধরনের ঋণের কিস্তি আগামী দুই বছরের জন্য বন্ধ করা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি গভর্নর এস.কে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন,এগুলোর অনেকটা ব্যাংক ও গ্রাহকের সাথে জড়িত। ফলে তারা নিজেরাই এগুলো মিটিয়ে ফেলতে পারবেন।আর আইনের মধ্যে থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের যা যা পদক্ষেপ নেয়া দরকার সেসব পদক্ষেপ নিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।