‘দেখামাত্র গুলি চালাতে বাধ্য হবে আইন শৃংখলা বাহিনী’

হাছান মাহমুদ

হাছান মাহমুদএমন কোনও কাজ করবেন না যাতে করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদেরকে রাস্তায় দেখামাত্র গুলি করতে বাধ্য হয়। এভাবে দেশজুড়ে তাণ্ডব চালাতে থাকলে সরকার চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে বলে হরতালকারীদের হুঁশীয়ার করেছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

রোববার দুপুর ১২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

হাছান বলেন, আমরা এখন এমন এক দেশে বাস করছি যেখানে বিএনপি-জামায়াত হরতালের নামে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে।

বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একটি দুইটি গাছ কাটলে যারা এক সময় সে গাছ ধরে কান্না করেছে তারা আজ কোথায়। এত হাজার হাজার গাছ কাটার পরও তারা অনুতপ্ত কিংবা একটা বিবৃতি দিলেন না। এতে বোঝা যায় তারা প্রকৃতির বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করছে।

সংলাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা আলোচনায় বিশ্বাসী। কিন্তু হত্যা, তাণ্ডব, যুদ্ধ এসব বন্ধ করে আলোচনায় বসতে হবে।

এ সময় তিনি বলেন, অবরোধ আর হরতাল যাই ডাকুন না কেন, মনে রাখবেন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ জানুয়ারী অবশ্যই নির্বাচন হবে। আর সরকারের চলমান গতিধারা দেখে এত দিনে অবশ্যই সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিরোধী দলের বোধোদয় হয়েছে।

যুদ্ধাপারাধের বিচার সম্পর্কে হাছান বলেন, রাত ১২ টা ১ মিনিটে ফাঁসীর রায় কার্যকরের সময় নির্ধারণের পরও রাত সাড়ে ১০ টা চেম্বার জজ আবার আপিলের সুযোগ দিলেন। পৃথিবীর কোনও দেশে এমন আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে কি না জানি না। তাই অস্বচ্ছ বিচার হয়েছে এটা বলার কোনও সুযোগ নেই।

বিশ্বের অন্য দেশগুলোর চেয়েও বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার স্বচ্ছ হয়েছে। বাংলাদেশের আইন আদালত অত্যন্ত নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছতার সাথে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে বলেও জানান তিনি।

এ রায় কার্যকরের পর আমরা আশা করছি বিএনপি রায়ে খুশি হয়ে কোন বিবৃতি দিবে। কিন্তু তারা তা করেনি।  তাই এটা এখন স্পষ্ট যে, বিএনপি-জামায়াত এখন এক ও অভিন্ন।

ঢাকা মহানগর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান পরিষদের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এম এ করিম, সাম্যবাদী নেতা হারুন চৌধুরী, সংগঠনের মহা সচিব হুমায়ুন কবীর মিজি প্রমুখ।

জেইউ/