
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দেশে এখন নির্বাচন ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হওয়া যায়। এখানে আসার সময় টেলিভিশনে দেখে এলাম ১৫৯ জন নাকি ইতোমধ্যে নির্বাচিত হয়ে গেছেন।
শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এরশাদকে যদি আটক করা হয়ে থাকে তবে তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। কেউ নির্বাচন করতে না চাইলেও তাকে জোর করে নির্বাচনে নিয়ে যেতে চায় আ.লীগ। কেন তাকে জোর করে নির্বাচনে নেওয়া হবে?
সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারানকো এসেছিলেন তাদের সাথে আমাদের আলোচনা করিয়ে দিতে। কিসের আলোচনা ? কার সাথে আলোচনা ? তারানকো দেশে আসল, আলোচনা বসালো কিন্তু একটি বারও আমাদের পার্টি অফিসটা দেখতে গেল না যেটাকে তারা ভেঙ্গেচুরে রেখেছে। আমরা কোথায় বসে আলোচনা করব ?
বুদ্ধিজীবী হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। আজ তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। বুদ্ধিজীবী হত্যার পেছনে তারাই জড়িত যারা আজ শাহবাগের আন্দোলনে মদদ জুগিয়ে চলেছেন। বুদ্ধিজীবীরা হত্যার চক্রান্তে টুপি মাথায় কিছু লোক কার বাসায় মিটিং করেছে তাও আমরা জানি। যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে দেশকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল তারা আজও এ দেশকে বাজার বানাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ভালই হয়েছে তারা আজ নেই, আমারই দূর্ভাগ্য এদেশটাকে এভাবে দেখে যেতে হচ্ছে।
ফাঁসির আদেশ আসল কোথা থেকে ? কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রসঙ্গে সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আদালত যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছিলেন। শাহবাগের ছোকরা-ছুকরিদের লাফালাফিতে আজ আদালতের রায়কেও পাল্টে ফেলা যায়।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কত মানুষ হত্যা, গুম এ জেলে নিয়েছেন বলেন। প্রত্যেকটা কাজের জন্যই তো আপনার নাম গিনেজ বুকে আসতে পারে।
মেজর অব: হাফিজ উদ্দিন বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন হ্যাণ্ডমেড কমিশন। এ বিষয়ে কথা বলতে বেগম জিয়া গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির কাছে। যদি তিনি এই কমিশনকে বদলে দিতেন তবে বিএনপি নির্বাচনে যেত এবং ২০০ আসন নিয়ে জয়লাভ করত সেই নির্বাচনে।
সভায় শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের আইন উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, মিহলা দলের নেত্রী শিরিন সুলতানা, ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজুদ্দিন, ঢাবির অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।
জেইউ/এমআর