সীমান্তে বসবাসকারীদের অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে আরও ২২ টি হাট স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করলেন মেঘালয় রাজ্য । সুত্র টাইমস অব ইন্ডিয়া ।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী মুকুল সাংগমা জানান, আন্তর্জাতিক সীমান্তে ২২ টি নতুন হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।এই হাট শুধু অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করবে না বরং এর মাধ্যেমে দুইদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বর্তমানে মেঘালয়ে দুইটি সীমান্ত হাট চালু রয়েছে । একটি হচ্ছে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার বালিয়ামারি এবং মেঘালয়ের পশ্চিম গারোপর্বত জেলার মধ্যে অবস্থিত। অন্যটি অবস্থিত বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের লোহাগড়া(দালোরা) এবং (পুর্ব-খাসি জেলার) ব্যালাতের মধ্যে ।
তিনি জানান, এই সকল হাটের লক্ষ্য হলো গ্রীষ্ম এবং শীতকালে ভারত ও বাংলাদেশের স্থানীয় লোকদের পণ্য বেচাকেনা এবং দুই দেশের অর্থনীতিকে উন্নত করা।
মার্চ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই হাট খোলা থাকবে সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত । আর অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পযন্ত সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট থেকে ২ টা ৩০ পর্যন্ত খোলা থাকবে।
দুই দেশের মধ্যে পণ্য আনা-নেয়ার মাধ্যম হিসেবে নদীপথ ব্যবহার করা হবে।
মুকুল বলেন, পানিপথে বাংলাদেশের সাথে পণ্য বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে তিনটি নদী বেছে নেওয়া হয়েছে আগেই। এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে পশ্চিম খাশিপর্বত জেলার কিনশি, দক্ষিণ গারো পর্বতের সিমস্যাং এবং পশ্চিম গারো পর্বতের জিনগিরাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সব নদীপথ খুলে দেওয়ার পর কিনশি, জাদুকতা এবং সিমস্যাং নদী থেকে পাওয়া কয়লা, চুনাপাথর ইত্যাদি বানিজ্যও সম্ভব হবে এ দুই দেশের মধ্যে ।
সম্প্রতি ভারত এবং বাংলাদেশের নদীপথ গুলো পশ্চিম বঙ্গ এবং আসামের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এই পথ দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে ।
ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশে নদীপথের সাথে সংযোগ করতে জাতীয় নদীপথ হিসেবে গোমতী নদীকে ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি প্রস্তাবনা পেশ করেছে। এর ফলে বাংলাদেশসহ মায়ানমার, ভুটান এবং চিনারাও এ পথে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে পারবে।