
বাংলাদেশে কেউ অসুস্থ হলে এখন আর এম্বুলেন্সের প্রয়োজন হবে না। র্যাবকে খবর দিলেই হাসপাতালে নিয়ে যাবে বলে জানালেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের বার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, এরশাদ বলেছেন তিনি অসুস্থ হন নি তবুও তাকে র্যাব সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তাহলে কি এরশাদের মত দেশের নাগরিকরা এভাবে র্যাবের গ্রেপ্তারের শিকার হবে?
এ সময় তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র রক্ষা আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে এসে পড়েছি। খালেদা জিয়া অনেক ধৈর্যশীল তা না হলে এতদিনে দেশ ধ্বংস হয়ে যেত। এ সময় গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনে খালেদা জিয়া মাঠে নামবেন বলেও জানান তিনি।
পাকবাহিনী যেমন সমস্ত বাংলাদেশে পরাজিত হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করেছিল তেমনি এ স্বৈরশাসক সরকারও সারাদেশে পরাজিত হয়ে ঢাকায় আত্মসমর্পণ করবে।
বাঙ্গালী জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানোর জন্য বুদ্ধিজিবীরা জীবন দিয়েছিলো অথচ আজ একটি দল ভিন দেশের সাথে লেজুর ভিত্তিক রাজনীতি করে দেশ ও বাক স্বাধীনতাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দ্যেশ্যে বলেন, ক্ষমতা ছেড়ে দিলে বুঝবেন কি হবে। আর সেটা আপনার পাশে যারা থাকে তারা ভালো বোঝে।
তিনি বলেন, শেখ মুজিব গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল তার পরিণাম কিন্তু অন্য কেউ ভোগ করে নি। আপনার পরিবারকে এর চরম মূল্য দিতে হয়েছিল। তাই এখন যারা আপনাকে আপা আপা সম্বোধন করে ভুল পথে নিচ্ছে, চরম মুহূর্তে এদের কেউই আপনার পাশে থাকবে না।
যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পর্কে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার করুন এটা আমরাও চাই, বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় কিন্তু কোনো রাজনৈতিক প্রতিশোধ চায় না। তাই এমন বিচার করবেন না যার জন্য আপনাকেও একই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, সরকারের পতনের মঞ্চ তৈরি করুন। আর অপেক্ষা করুন, খালেদা জিয়া সঠিক সময়ে সঠিক নির্দেশনা দিবে।
তিনি আরও বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা ৭১ সালে যুদ্ধ করেছি সেটা অবশ্যই বাস্তবায়ন করবো। কোনওভাবেই দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হতে দেব না।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের রহমত উল্লাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, খায়রুল কবির খোকন, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, মিঞা মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
জেইউ/এএস