
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তার অঙ্গ সংগঠন শিবির।
শুক্রবার দুপুরে বাদ জুম্মা রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনি, কমলাপুর রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। তারা প্রাইভেট কারসহ ১৫টির বেশি যানবাহন ও ফুটপাতের দোকানে অগ্নিসংযোগ ও বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
জুমা নামাজের পরপরই কাদের মোল্লার গায়েবানা জানাযাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ফকিরাপুল, বায়তুল মোকারম, পল্টন, মালিবাগ, মগবাজার, মতিঝিল, বিজয়নগর, কমলাপুর রেল স্টেশন এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। জামায়াত-শিবির কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। জবাবে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে রাউন্ডের পর রাউন্ড রাবার বুলেট আর টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে জুমার নামাজের পরপরই মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় জামায়াত-শিবির একটি মিছিল বের করে এলোপাতাড়ি ভাবে চারটি প্রাইভেট কার, পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি কাভার্ডভ্যান ও কয়েকটি রিকশ্যাভ্যান, রিকশা ও ফুটপাতের দোকানে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর তারা সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে থাকে।
অগ্নিদগ্ধ একটি প্রাইভেট কারের চালক মো. আলমগীর বলেন, তিনি শান্তিনগর থেকে আসছিলেন। এজিবি কলোনি এলাকায় আইডিয়াল স্কুলের কাছাকাছি আসার পর জামায়াত-শিবিরের ২০০-৩০০ কর্মীর মিছিল দেখতে পান। মিছিলরত নেতাকর্মীরা তার গাড়ি ভাঙচুর করে।
হলিডে মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকানেও আগুন দিয়েছে দূবৃত্তরা। এসময় ফুটপাতের দোকানীদের ক্ষতি হয় বেশি।
ফুটপাতের দোকানী আলমগীর জানান, ফুটপাতের বহু দোকানীসহ আমিও সর্বস্ব হারিয়েছি।তার ১০ হাজার টাকার পুঁজি হারিয়ে সে এখন পাগলপ্রায়।
এমআর/