সরকার গায়ের জোরে বিচারিক-প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কব্জা করে সারাদেশকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।
ফখরুল বলেন, একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ফ্যাসিবাদী নিষ্ঠুর আচরণের দ্বারা দেশে বিরোধী দল নিশ্চিহ্ন করার মহা পাঁয়তারায় মেতে উঠেছে বর্তমান সরকার। তারা গায়ের জোরে বিচারিক-প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কব্জা করে, শাসনতান্ত্রিক বিধি বিধান ছিনতাই করে সারাদেশকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছে।
সরকারের আচরণে সমাজ জীবনে রাজনীতির নামে দূর্বিনীত অন্ধ হিংস্রতায় এক ভয়াবহ নৈরাজ্য নেমে এসেছে, সরকারের পতি এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, দুঃশাসন ও আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধে উজ্জীবিত জাতীয়তাবাদী জনগোষ্ঠিকে দুর্বল ও নেতৃত্বহীন করার জন্য দেশী বিদেশী চক্রান্তের জাল বিস্তার লাভ করেছে। দেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে প্রতিবাদমূখর সকল বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে বর্তমান সরকার বাকশালের ন্যায় স্বৈরাচারী একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে এখন পুলিশী ক্ষমতার যথেচ্ছ প্রয়োগ করে সরকার শুধুমাত্র বিরোধী দলগুলোর দমন ক্রিয়ায় নিযুক্ত নয়, বরং রাজনীতি থেকে দূরে থাকা নিরপরাধ লোকেরাও পুলিশের নির্যাতন ও অপহরণ বানিজ্যের শিকার হচ্ছে।
আমরা এখনও অনেক নেতার সন্ধান পাচ্ছি না দাবি করে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত পুলিশ ও র্যাব এখনও বিএনপির অনেক নেতার লাশ গুম করে রেখেছে।
তিনি দাবি করেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের দেওয়া অবরোধ কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে ৯ জন নিহত ও ৭৭৫ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ২৩০ জন।গ্রেপ্তার হয়েছে ৫৮০ জন নেতাকর্মী।
এছাড়া, ৩০০০ এর অধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এমআর/