
২০০২ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে কালো টাকা রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় ১৪৪ টি দেশের মধ্যে ৪৭ তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এই তালিকায় পঞ্চম শীর্ষে রয়েছে ভারত, অন্যদিকে পাকিস্তান রয়েছে ১১৭ তম অবস্থানে। এই সময়কালের মধ্যে বাংলাদেশ ১ হাজার ৬ শত আট বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে রপ্তানি করে। ভারত রপ্তানি করে ৩৪৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার,অন্যদিকে পাকিস্তান রপ্তানি করে ১ শত দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার। নতুন এক গবেষণা রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
কালো টাকা বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে চায়না। এই তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া, তৃতীয় শীর্ষে মেক্সিকো, চতুর্থ শীর্ষে মালেশিয়া। ২০০২ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে চিন বিদেশে রপ্তানি করেছে ১০ লাখ সাত হাজার ৫ শত ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, রাশিয়া রপ্তানি করেছে ৮ লাখ আট হাজার ৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
‘উন্নয়নশীল দেশসমূহ থেকে অবৈধ অর্থরপ্তানিঃ ২০০২-২০১১’ শীর্ষক এই রিপোর্ট অনুযায়ী,উন্নশীল দেশগুলো থেকে এই দশ বছরে অপরাধ, দূর্ণীতি, আয়কর ফাঁকির প্রায় ৯৪৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এই পরিমাণটা ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১৩.৭ শতাংশেরও বেশি। ২০১০ সালে প্রায় ৮৩২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছিলো।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা ও ওকালতি সংগঠন গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রেটি (জিএফআই) গতকাল তাদের নতুন গবেষণার ফলাফল বই আকারে অনলাইনে প্রকাশ করে। সেখান থেকে জানা গেছে, জনগণকে বঞ্চিত করে অপরাধ, দূর্ণীতি ও আয়কর ফাঁকির মাধ্যমে কালো টাকা উপার্জন করা হয়,আবার এই টাকা বিদেশে রপ্তানি করা হলে ক্ষতি হয় মূলত সাধারণ মানুষের।
জানা গেছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণ কালো টাকা বিদেশে রপ্তানি করার ফলে ২০০২ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৫ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছে।
জিএফআই’র সভাপতি রায়মন্ড বাকের বলেন, প্রতি বছর উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে কালো টাকার রপ্তানি বেড়েই চলেছে। এটা যদি এখনই রোধ না করা হয় তবে বিশ্ব অর্থনীতি ব্যাপক সংকটের মধ্যে পড়বে।