ফরিদপুরের নগরকান্দার লস্করদিয়ায় বিএনপির শামা ওবায়েদ গ্রুপ ও বহিষ্কৃত কে এম জাহাঙ্গীর গ্রুপের মাঝে বুধবার বিকেলে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শামা ওবায়েদ গ্রুপের লোকজন জাহাঙ্গীরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটতরাজ ও ট্রাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
জানা গেছে, বুধবার বিকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর লস্করদিয়াস্থ বাসভবন চত্বরে উপজেলা বিএনপির নির্ধারিত কর্মী সভা চলাকালীন সদ্য বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কে, এম জাহাঙ্গীর মিয়ার সমর্থকেরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় শামা ওবায়েদ ইসলামের সমর্থকেরা পাল্টা হামলা চালালে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষে শুরু হয়। সংর্ঘষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে তালমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও দুদ মাতুব্বরকে আশংকাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে শামা ওবায়েদ ইসলামের সমর্থকেরা একটি মিছিল নিয়ে কে,এম জাহাঙ্গীরের ইট ভাটায় থাকা একটি ট্রাক খুলনা মেট্রো-ড-১১-০০৫৩ ও একটি ভেকুতে অগ্নিসংযোগ করলে ইট ভাটায় থাকা ট্রাক ও ভেকুটি পুড়ে যায়। এসময় আরো একটি ট্রাক ও অফিস ভাংচুর চালায়।
এব্যাপারে কে,এম জাহাঙ্গীর জানান, তাদের পূর্ব নির্ধারিত সভা সম্পার্কে আমি অবগত ছিলাম না। আমার কিছু লোক মিটিংয়ে বাধা দেয়ায় তারা উত্তেজিত হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ট্রাক ও ভেকুতে অগ্নিসংযোগ করে ও ভাংচুর চালায়। এতে আমার প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এব্যাপারে শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে।