এক মাস আগেই শুরু হচ্ছে সংশোধিত বাজেট প্রণয়নের কাজ

NBR

nbr_buildingগামি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ১ মাস এগিয়ে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়েই শুরু হচ্ছে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রণয়নের কাজ। এজন্য ১৫ ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অর্থমন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ বিভাগগুলোর সাথে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শুরু হবে।এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে(এনবিআর) অর্থমন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআরের নির্ভরযোগ্য সূত্র।

পরিপত্র অনুযায়ী সংশোধিত বাজেট প্রণয়নের আলোচনা শুরু হবে ১৫ ডিসেম্বর সাংস্কৃতিকবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দফতর, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগ এবং অর্থ বিভাগ-সিঅ্যান্ডজি কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে। আর শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল), ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (আইপিএফএফ), পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দফতরগুলোর কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্রে সংশোধিত বাজেট আলোচনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে বেশ কয়েকটি তথ্য নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষরিত হালনাগাদ প্রকৃত প্রাপ্তি এবং প্রকৃত ব্যয়ের বিবরণী। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর ও সংস্থার অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো, এলপিআর-এ (প্রাক-অবসরকালীন ছুটি) যাবেন এমন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঠিক সংখ্যা এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের হিসেব, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও টেলিফোন খাতগুলোর অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের বিবরীতে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে এবং বিল পরিশোধের বিবরণী, ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয়িত হয়েছে তার বিবরণী, শ্রান্তি বিনোদন (রিক্রিয়েশন লিভ) ছুটিতে যাবেন এ ধরনের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পুরো বিবরণ। বাজেটের আওতাধীন এবং রাজস্ব কর্মসূচি, তহবিল এবং ক্ষুদ্রঋণকার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য।

এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতি বছর মাঝামাঝি সময়ে এসে জীবন যাত্রার মান বেড়ে যায়। তাই এসময় বাজেটকে সংশোধন করে নতুন করে ব্যয় নির্ধারন করা হয়। এতে মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে আলাপ করে অর্থবছরের বাদবাকি সময়ে তাদের অর্থের চাহিদা কী হতে পারে তা নিরূপণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, প্রতি বছর বাজেট সংশোধনের কাজ  জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়। কিন্তু এবার জানুয়ারী মাসে জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এবার ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে তা শুরু করা হচ্ছে। এবার বিদেশী সাহায্য কম আসায় এবং রাজস্ব আদায় আশানুরূপ না হওয়ায় এডিপির ব্যয় কাটছাট করা হতে পারে। তাছাড়া বেশ কিছু মন্ত্রণালয়কে ব্যয় কমানোর সম্ভবনাও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের বাজেট আকার নির্ধারিত রয়েছে দুই লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) রয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। আর রাজস্ব খাতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ৩৬ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম ৪ মাসে রাজস্ব বোর্ড লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে।