
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, নৈরাজ্য ও সহিংসতা নিরসনের উদ্দেশ্যে আসা জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও মহাসচিবের বিশেষ দূত জানিয়েছেন তার আগমনের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। তিনি বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি জানান দেশের প্রধান দুই দলই তার উপস্থিতে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।
উল্লেখ্য, তাঁর পাচ দিনের সফর উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি।
তার আগে দুপুরে তিনি দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ের এক সংলাপের মধ্যস্ততা করেন। তবে আজকের এই বৈঠকের বিষয়ে তিনি তেমন কিছু বলেন নি।
তিনি বলেছেন ,দুই দলই আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।
তবে চলমান এই পরিস্থিতিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট বাংলাদেশের মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্তিতিকে ভারী করে তুলেছে। যা দেশটির সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে সমস্যার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ সব দলের অংশ গ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অহিংস্য নির্বাচন দেখতে চায়। যা বাংলাদেশি জনগণের চাওয়া-পাওয়া। একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেশটির মানুষের মাঝে চুড়ান্ত সস্তি এনে দিতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক অচালবস্থার উন্নতি সম্ভব, যদি রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে আপোশের স্বদিচ্ছা থাকে।
আর এর জন্য দুই দল এগিয়ে আসলে তাতে জাতিসংঘ সহযোগিতা করবে বলএ জানান তিনি।
নির্বাচনী তফসিল নিয়েও তিনি দুই দলের প্রতি সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।
এছাড়া বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তি ও আস্থা তৈরির পদক্ষেপ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, রাজনৈতিক নেতারা আলোচনা চলমান রাখতে এগিয়ে আসবে।
সব দলের অংশ গ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অহিংস্য নির্বাচনের জন্য পারস্পারিক আস্তা ও সমাধান খুজে পাবে বলেও মনে করেন তিনি।
রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠে দেশটি আবার উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। জাতিসংঘ দেশটির গণতন্ত্র সুসংহত রাখতে সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।