
দিনাজপুর শহরের নিমনগর ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হরতাল ও অবরোধকারীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কমপক্ষে ১৫ জনকে আটক করেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে রাবার বুলেট, টিয়ারশেলসহ দুই শতাধিক রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েছে।
অপরদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দিনাজপুর জেলায় সকাল- সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে জেলা বিএনপি।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর সোয়া দুইটা পর্যন্ত নিমনগর ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রেল অবরোধ করতে গেলে বিএনপি জামায়াতসহ ১৮ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের এই সংর্ঘষ হয়।
জানা যায়,বেলা ১১ টার দিকে রেল লাইন ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার জন্য একটি পাইলট ট্রেন দিনাজপুর ষ্টেশন থেকে ছেড়ে নিমনগর ফুলবাড়ী বাস ষ্ট্যান্ড রেল ঘুমটি গেটে গেলে অবরোধ ও হরতালকারীরা ট্রেনটিকে চলাচলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে পুলিশের সাথে অবরোধ ও হরতালকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে।
এক পর্যায় হরতাল ও অবরোধকারীরা চার দিক থেকে পুলিশকে ঘিরে ফেলে ইট পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। তারা রাস্তার উপর গাছের গুড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে দিনাজপুর ঢাকা মহাসড়ক তাদের দখলে নিয়ে নেয়।ভাংচুর করা হয় পুলিশ বক্স।এক পর্যায় পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। দুপুর সোয়া দুইটা পর্যন্ত দফায় দফায় চলা এই সংর্ঘষে পুলিশ,সাংবাদিক পিকেটার,পথচারীসহ শতাধীক আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে দুপুর সোয়া দুটায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। বিজিবি সদস্যরা গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।এসময় জেলা বিএনপির ১০ জন কর্মীসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জনৈক বাসের চালক ষ্টান্ডে দাড়িয়ে থাকা একটি বাস দ্রুত গতিতে নিয়ে এসে পুলিশের উপর উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়।পুলিশ সরে গেলে চালক বাসটিকে রেল লাইনের উপর রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ বাসটিকে আটক করেছে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ শামীম আল রাজী দুই শতাধীক রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ার ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দিনাজপুর জেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে বিএনপি।জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুকুর চৌধুরী জানান, পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই বিনা উষকানিতে হরতাল ও অবরোধকারীদের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে ১৮ দলের শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়েছে।গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ জন নেতা কর্মীকে।