
সরকার মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, করলে জনগণের স্বার্থে ক্ষমতা ছেড়ে দিত। জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াই শুরু হয়েছে। এ লড়াই কোনো দলের স্বার্থের জন্যে নয় বলে জানালেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়াক মাহমুদুর রহমান মান্না।
আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যরশনাল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, মানুষের অধিকার আদায়ের এই লড়াই আগামি ২৪-২৫ তারিখেও শেষ হবে না, আরও সময় লাগবে। জন্মের পর থেকে মানুষ মানবাধিকার ভোগের অধিকার রাখে। কিন্তু রাষ্ট্র বিভিন্ন কৌশলে মানুষের এ অধিকার হরণ করেছে।
এরশাদ সম্পর্কে মান্না বলেন, তিনি সকালে এক কথা, বিকেলে এক কথা বলেন। তাকে কেউ পছন্দ করুক আর না করুক এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সরকারে থাকা আর না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া তার অধিকার আছে।
সরকার জোর করে তাকে ধরে রাখতে চাচ্ছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এরশাদকে সরকার জোর করে ধরে রাখাটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। এছাড়া, রাজপথে একটার পর একটা অধিকার আদায়ের মিছিল হচ্ছে দেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে এটাই তার প্রমাণ বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে মান্না বলেন, দেশে এমন একটা নির্বাচন হতে যাচ্ছে যেখানে কোনো বিরোধী দলের সম্পৃক্ততা নেই। এটা একতরফা নির্বাচন। এ নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারের সঠিক প্রতিফলন ঘটবে না। ইতোমধ্যেই প্রতিদ্বদন্দ্বি না থাকায় আওয়ামী লীগের ১০০ জন নির্বাচিত হয়েছে যা নির্বাচনী বিধানের আওতায় পড়ে না। এই ধরণের স্বৈরতন্ত্রমূলক একদলীয় নির্বাচন দেশে সুফল বয়ে আনবে না।
জেইউ/এএস