
রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে শিবিরকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের গাড়িতে হামলা করে শিবিরকর্মীরা। এতে ৪ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার বিনোদপুরের কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মজিদ, পুলিশের কনস্টেবল মিজান, রেজাউল করিম ও মিরাজ। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহানগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর কদমতলা এলাকায় শিবিরকর্মীরা হরতালের সর্মথনে মছিল বের করে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি সেখানে গেলে শিবিরকর্মীরা ওই গাড়ি লক্ষ্য করে ৩০ থেকে ৪০টি ককটেল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ সময় শিবির কর্মীদের হামলায় গাড়িতে থাকা মতিহার থানার ওসি আবদুল মজিদসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন। কিছুক্ষণ পরে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে শিবিরকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে বিনোদপুর ও আশেপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, সংঘর্ষের পরে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে অবরোধের সমর্থনে মহানগরীর কাদিরগঞ্জ মহিলা কলেজের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর ১৮ দল। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। মিছিলটি সাহেব বাজার ও নিউমার্কেট এলাকা হয়ে নগর ভবনের সামনে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করে।
রাজশাহীতে অবরোধের কারণে দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার আশঙ্কায় পরিবহন মালিকরা তাদের যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছেন। তবে সকাল গড়াতেই মহানগরীতে অটোরিকশা, রিকশাসহ বিভিন্ন হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসছে। রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের ট্রেন নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। অফিস-আদালতে কাজকর্ম চলছে ঢিলেঢালাভাবে।
এএস