বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে পারবে না আর সমঝোতাও হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু মানবকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশষে অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কামরুল বলেন, বিদেশি বন্ধুরাও সমঝোতার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমরা জানি খালেদা জিয়া সমাঝোতা করবে না। কারণ তিনি জামায়াতের সঙ্গ ছাড়বেন না। আর সমাঝোতাও হবে না।
তিনি বলেন, আমরা এখন একাত্তরের চেয়ে বড় যুদ্ধে নেমেছি। মাঝামাঝি থাকার কোনো সুযোগ নেই। আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াঁতে হবে।
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জনগণকে প্রতিপক্ষ করেছে মন্তব্য করে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা একাত্তরে পাক বাহিনীর হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য ব্রীজ-কালভার্ট জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম। আজকে এই অপশক্তি মনে করে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাই তারা জনগণকে পুড়িয়ে মারছে।
সাঈদীর সাক্ষী মোস্তফাকে জামায়াত-শিবিরের দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে কুপিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাক্ষী সুরক্ষা আইন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমি বলতে চাই যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণ এই অপশক্তিকে রুখে না দাড়াবে ততক্ষণ সাক্ষী সুরক্ষা আইন কোনো আইন, পুলিশ নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোনো দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের জন্য বিদেশি কূটনৈতিকদের নেয়া উদ্যাগ কোনো জাতির জন্য সুখকর নয়। তারপরও আমরা জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে এই উদ্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
‘আমরা এখন যুদ্ধে লিপ্ত’ বিরোধী দলীয় নেতার উপদেষ্টা শমশের মুবিন চৌধুরীর এমন বক্তব্য উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এই যুদ্ধ কার বিরুদ্ধে? একজন পথচারী যে রাজনীতি বোঝে না রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তাকে যখন পেট্রোল বোমা দিয়ে পুঁড়িয়ে মারা হচ্ছে। তবে কী এই যুদ্ধ জনগণের বিরুদ্ধে নয়?
এ সময় যারা নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে সহিংসতা, সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সংগঠনের সভাপতি আহমদ আল কবিরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এসএম নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যরিষ্টার জাকির হোসেন, চিত্তরঞ্জন দাস প্রমুখ।
এমআইকে/এএস