
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিয়ে আগামি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার সকালে এই ঘোষণা দেন তিনি ।
এদিকে বিরোধীরা বলছে, সরকারের মূল উৎপাটন না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সোমবার সকালে হঠাৎ করেই পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার ঘোষণা দেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনেওয়াত্রা। এর আগেই বিরোধী দল ব্যাপক বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিল। রোববার সরকার পতনের দাবিতে পদত্যাগ করেন থাইল্যান্ডের বিরোধীদলের পার্লামেন্ট সদস্যরা। এর পরপরেই সকালে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান ইংলাক।
ইংলাক বলেন, এই মাসেই পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে নির্বাচন কবে নাগাদ হতে পারে তা এখনো জানান নি তিনি। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনেওয়াত্রা বলেন, সবার মতামত জানার পর আপনাদের জানাতে চাচ্ছি এই বছরেই পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য একাটি রয়্যাল ডিক্রি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে সরকার বিরোধীরা বলছে তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিরোদী দলীয় নেতা অভিজিত ভেজ্জাজিভা বলেন, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ২০০৮ সালে সালে দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড পাওয়ার পর স্বেচ্ছায় নির্বাসনে গিয়েছেন ইংলাকের ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রা। সাজা থেকে অব্যাহতি দিতে গত মাসে দায়মুক্তির একটি বিল উত্থাপন করে ইংলাক সরকার। এর পরপরেই বিরোধীরা অভিযোগ তোলে ২০১১ সালে নির্বাচিত ইংলাক সরকার দেশ পরিচালনা করছে না। তাকে পরিচালিত করছে তার ভাই থাকসিন। এমন অভিযোগ এনে সরকারের পদত্যাগ ওবং আগামি নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।