
জাতিসংঘ মহাসচিবের সহকারী সেক্রেটারি অস্কার ফার্নান্দোজ তারানকো যাই বলুক না কেন হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।
এ সময় তিনি বলেন, হাসিনার পাতানো নির্বাচনী ট্রেনে বিএনপি উঠবে না। তাই তাকে পতনের ট্রেনে এবার জনগণ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আইনজীবীদের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।
রুহুল আমিন বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো মানুষ এমন কি কোনো ধর্মই নিরাপদ নয়। বিশ্বজিত হত্যার বিচার এ দেশেই হবে। বিশ্বজিতের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, এবারের আন্দোলন গণতন্ত্র ও দেশকে রক্ষার আন্দোলন, মানুষের গণ-অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন। যে কোনোভাবেই হোক হাসিনাকে এ দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে। বিজয়ের মাসে আমাদের আরেকটি স্বৈরাচারকে হটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় অর্জন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিব এক নায়কতন্ত্র কায়েম করে টিকতে পারে নি। শেখ হাসিনাও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য কৌশলে বিডিআর দিয়ে সেনাবাহিনীদের হত্যা করেছে। কিন্তু এ অপচেষ্টার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের মাটিতে কখনই সম্ভব হবে না। সেনা হত্যার দায়ে তার বিচার করা হবে।
বিএফইউজে মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, আইনজীবীদের উপর সবসময়ই পুলিশি হামলা হয়। আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে নিরপরাধ বিশ্বজিতকে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সরকার স্বৈরাচারী এরশাদের চেয়েও জঘন্য। আর এরশাদের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি হবে হাসিনার। বাংলার মাটিতে তার করুণ পরিণতির জন্য সারা বাংলার জনগণ আজ উন্মুখ হয়ে আছে।
সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এড. জয়নাল আবেদীন বলেন, এই মাস স্বৈরাচার পতনের মাস। এ মাসেই স্বৈরাচারিণী হাসিনার পতন হবে।
তিনি বলেন, এ সরকার রক্ত পিপাসু সরকার। এরশাদ নূর হোসেন ও ডা. মিলনের রক্ত নিয়েও ক্ষমতায় টিকতে পারে নি। এই সরকারও পারবেন না। সম্মান থাকতে বিদায় নিন নতুবা করুণ বিদায় বরণ করতে হবে। যা আপনার ও আওয়ামী লীগের জন্য হবে অত্যন্ত লজ্জাকর।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পেশাজীবী আইনজীবীরা রাস্তায় নেমে আসা মানে আপনার বিদায় ঘণ্টা অপেক্ষা করছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরমের মহাসচিব এ এম মাহাবুব উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী এড. নীতাই রায় চৌধুরী, ড্যাবের সভাপতি ডা.আজিজুল হক, ডিইউজের সভাপতি কবি আব্দুল হাই সিকদার, সানাউল্লাহ মিয়া, এড. খোরশেদ মিয়া আলম, রবিউল ইসলাম, জাকির হোসেন প্রমুখ।
জেইউ/এএস