

সোনালী ব্যাংকের শেরাটন হোটেল শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপের পাঁচ সহযোগেী প্রতিষ্ঠানের ৩৭২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক ৯ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
রোববার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেস জানান কমিশনের উপ-পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
হলমার্ক গ্রুপের এ বিশাল অংকের ঋণ জালিয়াতিতে সহযোগিতা করায় সোনালী ব্যাংকের যেসকল কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হলেন,- সোনালী ব্যাংকের জিএম ননী গোপাল নাথ, সাবিতা সিরাজ,আ.ন.ম মাশরুরুল হুদা এজিএম আশরাফ আলী পাটওয়ারী,কামরুল হোসেন খান, খুরশীদ আলম ।ডিজিএম কানিজ ফাতেমা ও এক্সিউটিভ অফিসার আব্দুল মতিন।
দুদক সূত্র জানায়,হলমার্ক কেলেংকারীর সাথে জড়িত ৫টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। তাদের এই ঋণ জালিয়াতিতে সোনালী ব্যাংকের এ ৯ জনসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। যারা বিভিন্ন ব্যাক্তিগত সুবিধা ও আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রমাগত ঋণ সুবিধা প্রদান করেছে।মামলার তদন্তকালে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমান পাওয়ায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে দুদক সূত্র নিশ্চিত করেছে
প্রসঙ্গত হলমার্ক গ্রুপ সোনালী ব্যাংক রূপসী বাংলা শাখা থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিল।যার সাথে হলমার্ক গ্রপের কর্মকর্তারা ছাড়াও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছে। আর এ ঘটনায় ৩৮টি মামলা দায়ের করা হয় এর মধ্যে গত ৭ অক্টোবর ফান্ডেড ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা অত্মসাতের দায়ে ১১টি মামলার চার্জশীট প্রদান করে দুদক।
দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের টিম আলোচিত এ ঋণ কেলেঙ্কারীর ঘটনা তদন্ত করছেন।টিমের অন্য সদস্যরা হলেন-উপ-পরিচালক এস.এম.এম. আখতার হামিদ ভূঞা, সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান, মোছা. সেলিনা আক্তার মনি, মো. নাজমুচ্ছায়াদাত, উপ-সহকারী পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান এবং মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।