
রাজধানীর বাইরে বিএনপির বড় বড় নেতারা রাজপথে কিন্তু ঢাকায় তাদের কোনো কেন্দ্রীয় নেতাকে মাঠে দেখা যায় না। আসলে তারা জনগণের ভয়ে মাঠে নামছে না। বিএনপি তো নিষিদ্ধ সংগঠন নয় তাহলে তারা কেন গণমাধ্যমে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে হরতাল-অবরোধ দিবে বলে মন্তব্য করেছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত ‘হরতাল অবোরোধ দিয়ে মানুষ হত্যা-দেশবাসীর ভাবনা-সরকারের করনীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি একথা জানান।
হাছান মাহমুদ জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিজেদের রাজনৈতিক অভিলাষ ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিরোধী দল হরতাল অবরোধ দিয়ে বাংলাদেশকে ঢাকা থেকে বিচ্ছন্ন করে ফেলেছে। তারা সংবিধান ও আদালত বর্হিভূত দাবি নিয়ে অযৌক্তিকভাবে বাংলাদেশকে অচল করে রেখেছে।
তিনি বলেন, রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য কিন্তু বিরোধী দল যে রাজনীতি করছে তা ধ্বংসের রাজনীতি। এমন এক সময় আমরা কথা বলছি যখন বিরোধী দল হরতাল-অবরোধের নামে জীবন্ত -ঘুমন্ত মানুষের গায়ে পেট্রোল দিয়ে বোমা মেরে হত্যা করছে। এ ধরণের নৃশংস হত্যাকান্ড পৃথিবীর আর কোনো দেশে হয় না এমনকি আফগানিস্তান-ফিলিস্তিনেও না।
বিরোধীদলের নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি আমার মায়ের সমতুল্য, কিন্তু বার্ন ইউনিটের আর্তনাদ, কান্না কি আপনার কানে পৌঁছে না। সেখানে শত শত মায়ের আর্তনাদ শুনা যাচ্ছে, আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন না?
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এদেশে নির্বাচন চায় না কারণ তাদের জন্ম হয়েছে বন্দুকের নলের মধ্যে দিয়ে। তারা মানুষের দাবি নিয়ে কথা বলে না, শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই ব্যস্ত।
হাসান মাহমুদ বলেন, শুন্ততে পেলাম বিএনপির এক নেতা বোরকা পরে আদালতে হাজিরা দিতে গেল, আর এটা শুধু রাজনীতিবিদদের জন্যই নয় আমার জন্যেও খুবই লজ্জাকর ব্যাপার।
এরশাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, নাটকের শেষ দৃশ্যের জন্য আমাদেরকে আরও অপেক্ষা করতে হবে। অবশেষে শেষ দৃশ্যটা গণতন্ত্রের পক্ষেই যাবে।
জাতিসংঘের রাজনৈতিক বিষয়ক বিশেষ দূত তারানকোর বাংলাদেশে আসাকে স্বাগত জানাই কিন্তু তিনি এমন এক মুহূর্তে তিনি আমাদের দেশে এসেছেন যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর। তার এ আসাটা আমাদের জন্য অবশ্যই শুভকর নয়।
বাংলাদেশকে কোনভাবেই সাংবিধানিক শূন্যতায় পড়তে দেয়া হবে না। সংবিধান ও ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ জানুয়ারীতেই নির্বাচন হবে। জামায়াত নির্বাচন করতে পারবে না সে জন্য খালেদা জিয়া নির্বাচন হতে দেবে না কারণ একটা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে কারো কোলে ক্ষমতায় আসতে চায়।
এ সময় অনুষ্ঠানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এম এ করিম, হারুন চৌধুরী, শিরিন নইম পুনম প্রমুখ।
জেইউ/এএস