নির্বাচনের তফসিল বদলে কোনো আইনী সমস্যা নেই বলে তারানকোকে জানালেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর সাথে বৈঠক শেষে বের হয়ে এসব কথা জানান নাগরিক সমাজের সদস্যরা।
সুজন প্রতিনিধি বদিউল আলম মজুমদার বলেন, জাতিসংঘ এবং নাগরিক সমাজ চায় সব দলের অংশগ্রহণমূলক শান্তিপূর্ণ সুষ্টু নির্বাচন। এই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার না কি অন্য কারও অধীনে হবে, এটা নিয়ে জাতিসংঘ বা নাগরিক সমাজ কিছু ভাবছে না।প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে। তাই নির্বাচনের তফসিল পেছানোর সুযোগ আছে এবং তফসিল বদলে আইনি কোনও সমস্যা নেই।
কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন পেছানো যায় তা জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি তো আশাবাদী। একতরফা নির্বাচন হলে যেটা হবে সেটা আমাদের কারও জন্যই সুখকর হবে না। এখন বাংলাদেশে যা হচ্ছে সেটা নিশ্চয় আমরা কেউ কামনা করি না। কিভাবে নির্বাচন পেছনো যায় এটা নির্বাচন কমিশনও জানে, তারা জানে কীভাবে করলে তা ভাল হয়।
তারানকো সংকট উত্তোরণের কোনো প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, তারা নিউইয়র্ক থেকে কোনো ফর্মুলা নিয়ে আসেন নি। তারা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এমন একটি ফর্মুলা নিশ্চয় বের হয়ে আসবে। তারা সচেষ্ট আছেন একটি সমঝোতার জন্য। সবার জন্য যেটা সুবিধা হয়, সেটাই হবে। তাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরাও তাদের উৎসাহিত করে বলেছি চেষ্টা চালিয়ে যান।
শুক্রবার পাঁচদিনের সফরে ঢাকায় আসার পর শনিবার তারানকো বসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, আওয়ামী লীগের সাধারণ-সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে। রোববার সকালে প্রথমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পরে নির্বাচন কমিশন, এরপর প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং এরপর নাগরিক সমাজের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকের প্রতিটিতেই তফসিল পেছানোর বিষয়টিই উঠে এসেছে।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ করলেও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের কেউ সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নেরই জবাব দেন নি।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন, আইনজ্ঞ শাহদীন মালিক, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং এডভোকেট সুলতানা কামাল।
এমআর