অর্থনীতির অবস্থা খুবই নাজুক: ড. ইউনূস

DR.yunus_round_tableদেশের বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দেশের অর্থনীতির অবস্থা এখন খুবই নাজুক। আর এ অবস্থার উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার মিরপুরে ইউনূস সেন্টারে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের একটি প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ উদ্বেগের কথা জানান।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যেই সারাবিশ্ব থেকে গরিবের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে। আর আগামি ২০৩০ সালের পর বাংলাদেশে কোনো গরিব মানুষ পাওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী দেশ। এখানে সব কিছু রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের তারণ্যের অসীম উজ্জীবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সম্মিলিত উদ্যোগে নবীন-প্রবীনের এ উজ্জীবনী শক্তির সমন্বয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে গরীব, বেকার আর দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।

সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে তিনি বলেন, সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমেই বিশ্বকে পরিবর্তন করা সম্ভব। কারণ সমাজিক ব্যবসা হচ্ছে ব্যক্তিগত মুনাফা বিবর্জিত ব্যবসা। চলমান পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে সকলেই অর্থের পিছনে ছুটছে। দান-খয়রাতের অর্থ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।

এ সময় গ্রামীন ব্যাংকের সাফল্যের কথা তুলে ধরে ইউনূস বলেন, যে গ্রামীণ ব্যাংক দেশে দেশে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে, সেই ব্যাংকের উপর আঘাত হানা হয়েছে।

মেজর (অব.) এম এম মেহবুব রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ফেরামের প্রেসিডেন্ট মির্জা ওয়ালিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া হায়দার, গবেষক ড. মো. এমতাজ হোসেন. ড. মোস্তফা কামাল পাশা, খন্দকার শফিকুল হাসান রতন, অধ্যক্ষ মো. সালাউদ্দিন ভূইয়া, কাওসার জামান বাবলা, সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন প্রমুখ।

জেইউ/