
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ও অবৈধভাবে কোটি টাকা অর্জনের দায়ে রফিকুল ইসলাম নামে এক কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্ত্রীসহ তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমসের গামের্ন্টস অডিট শাখার পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রোববার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান এবং তাদের তলব করার অনুমোদন দেন বলে জানায় দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র।
দুদক সূত্র জানায়,মো.রফিকুল ইসলাম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস বিভাগে গার্মেন্টস অডিট পরিদর্শক হিসেবে চাকরি করেন। তার বেতন ১০ হাজার ৭৮২ টাকা। কিন্তু তিনি রাজধানীর উত্তরায় বেশ কয়েকটি ফ্লাট ক্রয় করেন। যা বৈধ টাকায় সম্ভব নয় বলে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদক। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তিনি তার নিজের নামে, স্ত্রী শারমিন ইসলাম ও কন্যা জেসিকা ইসলাম লিয়ার নামে বেশ বড় অংকের টাকা জমা করেছেন।
সম্পদের হিসাব চাইলে তিনি নিজের নামে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্ত্রী শারমিন ইসলামের নামে ৯৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকা এবং মেয়ে জেসিকা ইসলামের নামে ১৪ লাখ টাকার সম্পদের বিবরণ দেন। এতে তিনি নিজেকে চাকরিজীবি, স্ত্রী এবং কন্যাকে ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেন। কিন্তু অনুসন্ধান শেষে দেখা যায় তার স্ত্রী বা মেয়ের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই। নেই কোনো ব্যবসায়িক লাইসেন্সও। আর মেয়ে জেসিকা ইসলাম একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যায়য়ের ছাত্রী।তাই নিজেই অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করে স্ত্রী এবং মেয়ের নামে অ্যাকাউন্ট করেছেন বলে দুদক মনে করে। এছাড়াও তিনি আরও অনেক সম্পদ লুকিয়েছেন বলেও প্রমান রয়েছে দুদকের কাছে।
দুদকের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
এআর