সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার জন্য সারা বাংলার জনগণ এখন প্রস্তুত রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরামের কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলমগীর মহিউদ্দীন বলেন, স্বেচ্ছাচারিতার প্রয়োজনেই বিরোধীদলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন-পিড়নের চেষ্টা চালানো হয়। আর সরকার এখন সেই প্রচেষ্টাই চালাচ্ছে। হাসিনার মিথ্যাচারকে জনগণের কাছে যৌক্তিক করতেই গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারণ গণমাধ্যম সবসময় সত্য কথা বলে।
তিনি আরও বলেন, এখন শুধু সুষ্ঠু নেতৃত্ব আর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দরকার। এর আগেও দেখা গেছে জাতীয় নির্বাচন আসলেই ঐক্য ভেঙে পড়ে। তাই এই ব্যাপারে কঠোরভাবে নজর দিতে হবে। সবার মধ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
বাংলাদেশের ওপর ভারতের অযৌক্তিক কড়া নজরদারি সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের উপর যে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নজর রাখছে, তা দেশটির পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিংয়ের সাম্প্রতিক বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমেই তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ভারতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত শাসন করছে দুই লাখ ব্রাহ্মণ আর তাদের নিচে থাকা হিন্দু নিম্নবর্ণের লোকেরা। বাংলাদেশেও ভারত সেই একই ব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা করছে। তাই তারা এদেশের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও আগে থেকে প্রেসক্লাবের সামনে সাঁজোয়া যান, প্রিজন ভ্যান ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত থাকায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে শেষ মুহূর্তেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন নি বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মো: রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ-সম্পাদক শিরীন সুলতানা, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
জেইউ/এএস