
আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন শুক্রবার নতুন চমক দেখা গেছে । রাজশাহী ১ ও ৪ আসনে আওয়ামী লীগের দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় থেকে গেলেন । রাজশাহী জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের ১৩ জন প্রার্থীকে বৈধ এবং ৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
রাজশাহী-১ আসনে একমাত্র বৈধ প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী। এতে করে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হবেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সর্বশেষ আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
রাজশাহী-২ আসনে ৩ প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মহানগর সভাপতি বজলুর রহমান, বর্তমান এমপি ও ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় পার্টির নেতা এমএস জোহা সরকার।
রাজশাহী- ৩ আসনে তিনজন প্রার্থীকে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে চারজনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে । এ আসনের জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, কাটাখালি পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্দুর রউফ নান্নু, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর কবির ও আতিকুর রহমান ভোটার এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশের সাক্ষর জমা দেন নি। তাই তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে।
এ আসনে বৈধ তিন প্রার্থী হলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা (বিদ্রোহী), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত আয়েন উদ্দিন।
রাজশাহী-৪ আসনে দুইজন প্রার্থী জাতীয় পার্টির আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও স্বতন্ত্র আবু ইউসুফ মোহাম্মদ সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এতে করে আওয়ামী লীগের এনামুল হকের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় থেকে গেলেন ।
রাজশাহী- ৫ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ওবাইদুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও জাতীয় পার্টির নেতা আবুল হোসেনকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজশাহী-৬ আসনে জাসদ (ইনু) নেতা শফিউর রহমানের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগ টিকেটপ্রাপ্ত বর্তমান এমপি শাহরিয়ার আলম, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রায়হানুল হক মনোনায়নপত্র বৈধ হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে।