
সব সন্দেহ ও অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নবম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যৌথ ঘোষণা গৃহীত হতে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য সামান্য হলেও কিছু সুখবর থাকছে। সম্মেলনে উন্নত দেশগুলো এলডিসির জন্য কোটা ও শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।সম্মেলনের ঘোষণায় অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন নগরী বালিতে চারদিনের এ সম্মেলন শুরু হয়, যা শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা। বালির স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত এ সম্মেলন চলছিল। তবে এর মধ্যেই সম্মেলনের খসড়া ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র প্রণয়নের জন্য সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্যমন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা আলোচনা করছিলেন।
খসড়া ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, যেসব উন্নত দেশ এখনও এলডিসিগুলোকে ৯৭ ভাগ পর্যন্ত পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়নি তারা সংস্থার পরবর্তী মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের আগেই তা ন্যূনতম ৯৭ ভাগে উন্নীত করবে; যাতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাজার সম্প্রসারিত হয়।
সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোও স্বল্পোন্নত দেশের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার পক্ষে তাদের অবস্থানের কথা জানায়। খসড়া ঘোষণাপত্র অনুসারে, যেসব উন্নয়নশীল দেশ এলডিসিকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে তারা ধীরে ধীরে এ সুবিধার আওতা বাড়াবে তথা আরও বেশি সংখ্যক পণ্যে তারা এ সুবিধা দেবে। অন্যদিকে যেসব উন্নয়নশীল দেশ এখনো এলডিসিগুলোকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দেওয়া শুরু করেনি, তারা তা শুরু করবে।
তবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো ঠিক কতদিনের মধ্যে এলডিসিগুলোর জন্য বাণিজ্য সুবিধা বাড়াবে তা ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, পরবর্তী মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মলনের আগেই এ সুবিধা দেওয়া হবে। সাধারণত দুই বছর পর পর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে খসড়া ঘোষণাপত্রের মত চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রেও যদি কোনো গ্যারান্টি ক্লজ না থাকে তাহলে বাস্তবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি কতটুকু পরিপালন করবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে।