ছাত্রমৈত্রীর ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

chatro_maitryআজ ৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী । ১৯৮০ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরসূরি বহুধাবিভক্ত প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর চারটির মহাঐক্যের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠালাভ করে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী।

শ্রমজীবি মানুষের সাথে একাত্ন হও, অধিকার আদায়ের লড়াকু সংগ্রামে ৩৩ বছর; এমন শ্লোগান নিয়ে আজ ছাত্র মৈত্রীর  নেতাকর্মীরা দিনটি উদযাপন করছেন।

৩৩ বছরের এই দীর্ঘ পথচলায় ছাত্র মৈত্রী একাধিকবার ভেঙ্গে যায়। এগুলোর মধ্যে প্রথমটি হলো অবিভক্ত বাংলাদেশ  ছাত্রমৈত্রী , এটি হলো ছাত্রমৈত্রীর প্রথম সংগঠন। অনেকে এই ছাত্রসংগঠনটিকে বাংলা মৈত্রী নামে সম্বোধন করে থাকে। এটি বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির অংগসংগঠন। দ্বিতীয়টি হলো ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের অঙ্গসংগঠন বিপ্লবি ছাত্র মৈত্রী, তৃতীয়টি হলো জাতীয় গণফ্রন্ট ছাত্রমৈত্রী, জাতীয় গণফ্রন্টের ছাত্র সংগঠন এটি। এর সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস।

৩২ বছরের পথচলায় ছাত্রমৈত্রীর সংগ্রাম করেছে  গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, সাম্রাজ্যবাদ এবং অগণতান্ত্রিক-অসাংবিধানিক শাসনের বিরুদ্ধে, মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তি নিরসনে। একাত্তরের পরাজিত ঘাতক মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক চক্রের বিরুদ্ধে ছাত্র মৈত্রীর বীরোচিত লড়াই এদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে এক বিশেষ অধ্যায় রচনা করেছে। ৩২ বছরের এই সংগ্রামী পথচলায় ছাত্র মৈত্রীর অসংখ্য বিপ্লবী ছাত্রকর্মী জীবন বিসর্জন দিয়েছে।

এছাড়া,  সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদের সূচনাটিও  করেছিল এই ছাত্র মৈত্রী।

এমআর/