হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ধ্বস; শুক্রবারও খোলা

hili

hili১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা হরতাল ও অবরোধে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ধ্বস নেমেছে। বন্দরে ও ভারতের ওপারে খালাসের অপেক্ষায় পড়ে আছে শত শত কাঁচাপণ্যবাহী ট্রাক। আর এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। অবরোধে পণ্য জটের সৃষ্টি হওয়ায় আগামিকাল শুক্রবারও স্থলবন্দর খোলা রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ১৮০-২০০টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। কিন্তু অবরোধে গত শনিবার বন্দরে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করে নি। রোববার থেকে থেকে বুধবার পর্যন্ত ৪ দিনে মোট ২২৫টি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। যা একদিনে প্রবেশকৃত পণ্যবাহী ট্রাকের সমান। এদিকে ওপারে (ভারতে) বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় ২৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষা করছে।

হিলি কাঁচামাল আমদানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক হারুন উর রশিদ হারুন জানান, অবরোধে হিলি স্থলবন্দর থেকে দেশের অন্য প্রান্তে পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় পণ্য হিলি স্থলবন্দরের বাইরে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে ভারত হিলি ও বাংলাহিলিতে আমাদের অনেক কাঁচা পণ্য আটকে পড়ার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে কোটি কোটি টাকা লোকশান গুনছেন। আর এমনটি চলতে থাকলে আরও লোকসান গুনতে হবে তাদের।

আজ  সকালে হিলি চারমাথা মোড়ে অবরোধের সমর্থনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মিছিল, মিটিং ও পিকেটিং করলে পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে পারে নি। পরে দুপুর ১.৩০ মিনিট থেকে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করে।

হিলি স্থলবন্দরের সহকারি কাষ্টমস কমিশনার (এসি) মাজেদুল হক জানান, বন্দরের প্রতিদিনের রাজস্ব টার্গেট ৫০ লাখ টাকা থাকায় আমদানিকৃত পণ্য থেকে সরকার রাজস্ব হারাবে প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো। লাগাতার অবরোধে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে কম ঢুকছে। আর ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে কোথাও পণ্য পরিবহন করতে পারছে না। ফলে অবরোধে পণ্যজটের সৃষ্টি হওয়ায় আগামিকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও স্থলবন্দর খোলা রাখার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বানিজ্য সচল রাখার লক্ষ্যে বন্দরের ব্যবসায়ীদের অনুরোধে এই সিন্ধান্ত নেয় হয়।

এএস