
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. হেলাল বলেন, চরকে উন্নত করতে হলে সাধারণ স্থলভাগের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে উন্নয়ন সমন্বয় কতৃক আয়োজিত ‘দ্বীপ চরাঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির অন্তরায় ও সম্ভাবনার দিকসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চরের মধ্যেই অতি দরিদ্র লোক বাস করে। চরের ঝুঁকি ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। প্রয়োজসীয় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তাদের দারিদ্রতা দূর করতে পারলে বাংলাদেশে আর দরিদ্র লোক থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রার লক্ষ-১ অর্জন করতে হলে অবশ্যই চরের উন্নয়ন করতে হবে। সেখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
কর্মজীবী নারী পরিষদের সভাপতি শিরিন আক্তার ব্রাক, আশা ও গ্রামীন ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণ সম্পর্কে বলেন, যে ঋণের ভয়ে গ্রাহকেরা ঘর ছাড়া হয়, সে ঋণ সহায়তার প্রয়োজন নেই।
অনুষ্ঠানে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার চয়ন কুমার সাহা। রাজশাহী, চাপাইনবাবাগঞ্জ, পাবনা ও লালমনিরহাট এ চারটি জেলার দশটি চরাঞ্চলের উপর তিনি এ গবেষণা করেন। এতে এ চরগুলোর বিদ্যমান কর্মসংস্থানের চিত্র, কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বীপচরবাসীর যোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতা, সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আর এ ক্ষেত্রে ঋণ কর্মসুচির ভুমিকা ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে।
অনুষ্ঠানে তার গবেষণায় কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জাতীয় বাজেটে চরবাসীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তসহ সার্বিক মান উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখা, দ্বীপচরের অতি দরিদ্রদের জন্য বিশেষ কোটা হিসেবে ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা মাতৃত্বকালীন ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা সংরক্ষণ করা। চরাঞ্চলে কৃষিপণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণও বিপণনে সরকারি সহায়তা প্রদান। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাদের পুনর্বাসন করা, চর উন্নয়নে ‘জাতীয় চরবোর্ড’ গঠন করা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, প্রযেক্ট কো-অর্ডিনেটর শাহীন আল আমীন,এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান, বিআইডিএসের সিনিয়র গবেষক জুলফিকার আলী প্রমুখ।
জেইউ/