
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে কারাবন্ধী করা হলে স্বেচ্ছায় রংপুরের পাঁচ লাখ লোক কারবরণ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর সেই মুহুর্ত থেকেই অসহযোগ আন্দেলন শুরু হবে বলে জানান রংপুরের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এরশাদকে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদ সমাবেশে কাচারী বাজারে এই ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ম সদস্য ও সাবেক সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গা।
রাঙ্গা বলেন, এবার আওয়ামী লীগ বুঝবে, আন্দোলন কি, এবং কত প্রকার। সরকার বেশি বাড়াবাড়ি করলে উত্তরবঙ্গসহ সারাদেশ অচল করে দেয়া হবে। এরশাদ সাহেব ফেরেস্তা নন, রাজনীতিবিদ। কথার হের ফের হতেই পারে। এরশাদ জাতির কথা ভেবে বর্তমান সংকট থেকে মুক্তির জন্য বারবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু মিডিয়াকর্মীরা স্যারের কথা অহেতুক নিজেদের মনগড়া মত প্রচার করছেন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও হুঁশিয়ারি করে তিনি বলেন, সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এরশাদকে গ্রেপ্তার করা হলে আপনাদেরকেও আর ছাড় দেয়া হবে না। এরশাদ নিয়ে অনেক খেলেছেন, আর নয়।
এর আগে দলীয় কার্যালয় থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টায় লুঙ্গি পড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল শুরু হওয়ার সাথে সাথে পায়রা চত্বর থেকে প্রেসকাব এলাকা পর্যন্ত ব্যাবসায়ীরা আতংকে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। সরকার বিরোধী শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে নগরী। এসময় নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেন এরশাদের বাসায় পুলিশ কেন- তুই হাসিনা জবাব দে, এরশাদের কিছু হলে- জ্বলবে আগুন সারাদেশে, পল্লীবন্ধু আটক হলে- সারা বাংলায় লড়াই হবে, টুঙ্গিপাড়ার গোলাপী- আর কতকাল জ্বালাবি। ছি ছি হাসিনা- তোর জ্বালায় বাঁচিনা। এরশাদের মিথ্যা মামলা- তুলে নাও নিতে হবে। একদলীয় নির্বাচন মানি না- মানবো না। এরকম শ্লোগান গত ৫ বছরে শোনা যায় নি এরশাদের নেতাকর্মীদের মুখ থেকে। রাজপথে এতোটা সরবও দেখা যায় নি কখনো।
এএস
বিক্ষোভ মিছিলটি কাচারে বাজারে গেলে সেখানে সড়ক অবরোধে করে সমাবেশ করে তারা। এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ-সম্পাদক আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, মহানগর সাধারণ-সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, মহিলা পার্টির সভাপতি শাহান বেগম, সাধারণ-সম্পাদক ফেরদৌসী বেগম মালা, জেলা যুব সংহতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ-সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিম, জেলা ছাত্র সমাজ সভাপতি নাজমুল হুদা লাবলু, সাধারণ-সম্পাদক আশরাফুল হক জবা, মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রিপন, সাধারণ-সম্পাদক সোবহান মজিব বিদ্যুৎ, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি শামীম সিদ্দিকী, সাধারণ-সম্পাদক মমিন উদ্দিন পাটোয়ারী, মহানগর যুব সংহতির সভাপতি শাহাদত হোসেন, সাধারণ-সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ, শ্রমিক পার্টির সভাপতি মন্টু মিয়া, সাধারণ-সম্পাদক রাজু আহমেদ, মহানগর তরুণ পার্টির আহবায়ক লাইফুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন নেতারা। এসময় শতাধিক পুলিশ গাড়ি বহর দিয়ে মিছিল ও সমাবেশে নিরাপত্তা দেয়।