একই গাছে দুই রকম ফল

kazu-Apleএক গাছে দু’ধরনের ফল হয়। একটির নাম কাজু আপেল, অন্যটির নাম কাজু বাদাম। দুটি ফলই সুস্বাদু। প্রথমে নরম তুলতুলে কাজু আপেল জন্মে। এই আপেলের মাথায় জন্মে কাজু বাদাম।

কাজু আপেল সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। অনেকে এর জুস খায়। আপেলের রঙ হয় হলুদ বা লাল। পাকলে এমনিতেই ঝরে পড়ে। আপেলের মাথায় বাঁকা ফলই কাজু বাদাম। বাদামের ওপরে মোটা সহজ রঙের খোসা থাকে। বিশেষ পদ্ধতিতে প্রয়োগ করে এর খোসা ছাড়িয়ে বের করা হয় কাজু বাদাম।

কাজু বাদাম খুবই সুস্বাস্থ্যকর একটি ফল। এক হাজার টাকা কেজি। এর মধ্যে ২১ শতাংশ আমিষ, ৪৭ শতাংশ স্নেহজাতীয় পদার্থসহ অন্যান্য ভিটামিন থাকায় এটি স্বাস্থ্যসম্মত। কাজু বাদাম এমনি খেতে খুবই চমৎকার।

এছাড়া মিষ্টি, ফিরনি-পায়েস, পোলাও-কোর্মার সঙ্গে স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।ভারতে প্রথম পর্তুগিজরা ভূমিক্ষয় রোধ করার জন্য কাজু বাদামের চাষ শুরু করে।  মাঝারি আকৃতির গাছে প্রচুর ফল হয়। চারা রোপনের ৪/৫ বছরের মধ্যে গাছে ফুল-ফল আসে। আম পাতার মতো কাজুর পাতা।

যশোরের চাঁচড়ায় এক চাষি ১০ বছর আগে ভারত থেকে সংগ্রহ করে একটি কাজু বাদামের চারা রোপণ করে পাঁচ বছর ধরে গাছটি থেকে নিয়মিত ফল সংগ্রহ করছেন। এখন একটি গাছেই প্রতি বছর ১০-১২ কেজি ফল হয়। এর ফুল দেখতে বেশ সুন্দর। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ফুল আসে। বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। বছরে একবার সার প্রয়োগ করা হলে ভালো ফল পাওয়া যায়। বীজ থেকে চারা হয়। তবে এখন গ্রাফটিং কলমের চারা বড় নার্সারিতে কিনতে পাওয়া যায়। কাজুর সমস্যা হচ্ছে ফল ছাড়ানো। ফলের ওপরের খোসা মোটা। এতে এক ধরনের তেল থাকে। তেল মূল্যবান। তবে তেল খাওয়া যায় না। অতি মূল্যবান ফসল কাজু বাদাম চাষের উদ্যোগ নেওয়া হলে কৃষি ক্ষেত্রে আরেকটি বিশেষ ঘটনা ঘটবে।