
চট্টগ্রাম নগরীতে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা পঞ্চম দিনের অবরোধ। আর চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাতটি উপজেলায় চলছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। এদিকে কুমিল্লায় লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিনের উদ্ধার কাজ চলায় ট্রেন শিডিউল দেখা দিয়েছে বিপর্যয়।
এর আগে নগরীর আকবর শাহ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণে এক স্কুল ছাত্রী আহত এবং হাটহাজারীতে এক চালক অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। এছাড়াও সোমবার সকাল থেকে যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ অবরোধকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লার রেল লাইনের ফিসপ্লেট তুলে ফেলায় গোধূলী এক্সপ্রেসের পাঁচটি বগিসহ ইঞ্জিন লাইনচ্যূত হয়। উদ্ধার ও সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় চট্টগ্রামের সাথে ঢাকা ও সিলেটের ট্রেন চলাচল কয়েক ঘন্টা বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রামে সময়মতো কোনো ট্রেন আসতে না পারায় ট্রেন চলাচলে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়।
নগরীর আকবর শাহ, বহদ্দারহাট এলাকা, হাটহাজারীতে ককটেল বিস্ফোরণ, যানবহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্নস্থানে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে নগরীতে যানচলাচল অন্য দিনের তুলনায় কম হওয়ায় বাড়তি ভাড়াসহ যাত্রীদের পড়তে হয়েছে নানা ঝামেলায়। দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চট্টগ্রাম ছেড়ে যায় নি।
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামা করলেও যানচলাচল না করায় দূর পাল্লার কোনো ট্রাক ছেড়ে যায় নি।
চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মুনজুর মোর্শেদ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর এখন পর্যন্ত কোথাও নাশকতার খরব পাওয়া যায়নি। উত্তর জেলায় সেচ্ছাসেবক দল হরতাল ডাকায় সেখানেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নগরীতে দুই হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি ফোর্স রিজার্ভ আছে। প্রয়োজনে তাদেরও মাঠে নামানো হবে।