
জাতীয় পার্টির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগে উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, উনি (এরশাদ) তো প্রতিদিন কত ক্রিয়াই করছেন। এটি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। ওনার এই ক্রিয়া (নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত) কতক্ষণ থাকে সেটা আগে দেখার দরকার। তারপর এর প্রতিক্রিয়া দেওয়া যাবে।”
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বিজয় দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সুরঞ্জিত বলেন, “তিনি (এরশাদ) হয়তো সাময়িকভাবে ক্ষুব্ধ হতে পারেন। পরে যখন তিনি স্বাভাবিক হবেন তখন এটা পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আমার বিশ্বাস।”
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, “তিনি (এরশাদ) স্বেচ্ছায় সর্বদলীয় সরকারে যোগদান করেছেন। আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। এখন তিনি নিজেই আবার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি কী করবেন।”
প্রসঙ্গত, দেশের সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন। এবং দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিবৃতি প্রসঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “তিনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচন কমিশনের কাছে তফসিল স্থগিত করার জন্যে বলেছেন। তিনি বুঝেছেন এখন আর ক্ষমতা সরকারের হাতে নেই এটা এখন সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। তবে আপনাকে বলতে হবে আপনি নির্বাচনে আসবেন। তারপর কমিশন এটি বিবেচনা করলে করতে পারে। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে ৫ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।”
বিরোধীদলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “মানুষ পুড়িয়ে মারবেন, আবার তফসিল স্থগিত চাইবেন কিন্তু নির্বাচনে আসবেন না এটি হতে পারে না। নির্বাচনে অংশ না নিলে আমও যাবে ছালাও যাবে।”
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, জাসদ নেতা মীর হোসেন আক্তার, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।
এমআইকে/এআর