
স্বপ্নকে পুঁজি করে মানুষ অনেক অসাধ্যকে সাধন করেছে। স্বপ্ন-বালক গাব্রিয়েল মুনিজও তেমনই এক স্বপ্নের পথে ছুটে চলেছেন। অ্যাপোডিয়া নামক লিম্প ডিফিসিয়েন্সি নিয়ে জন্ম হয় তার ব্রাজিলের কেমপস ডস গয়েটেকেজেস-এ। অ্যাপোডিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তার পায়ের পাতা আরো আট-দশ জনের মতো বিকশিত হয়নি। তা সত্ত্বেও বিশ্বসেরা ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখার বিরাম নেই। খেলেনও ভালো, সেই সূত্রে বারসেলোনার মনোযোগও আকর্ষণ করেছেন ইতিমধ্যে। পৃথিবীর অন্যতম এই ফুটবল ক্লাব ন্যু-ক্যম্পের নিমন্ত্রণও পাঠিয়ে রেখেছে তাকে।
১১ বছর বয়সী এই বিস্ময়বালকের কাছে ফুটবলই সব। তার বাসার বাহিরে থাকার মানে অবধারিতভাবে ফুটবল নিয়ে মেতে থাকা। প্রথম প্রথম কেউ তাকে খেলায় নিতে চাইতো না, কিন্তু ভালো খেলার কারণে এখন আর কেউ তাকে না নিয়ে পারেও না।
মা সান্ড্রা বলেন, আমার ছেলের মুখে প্রথম কথা ফুটে মাত্র ১০ মাস বয়সে, কিন্তু এরও কিছু আগে থেকে সে হাটঁতে শিখেছে । আমি জানি, এটা কেউ বিশ্বাসই করতে চাইবে না।
তিনি আরো বলেন, খুব অল্প বয়স থেকে সে ফুটবল খেলতে শুরু করে, তারপর একটা স্থানীয় ফুটবল টিমে তাকে ভর্তি করিয়ে দেই। অল্প দিনেই অনেকগুলো মেডেলও সে জয় করে এনেছে।
চমৎকার ফুটবলের যাদুতে সবাইকে তাক লাগিয়ে গাব্রিয়েল নজর কাড়েন ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার। স্পেনিশ জায়ান্ট সক্ষম-সামর্থ্যবান ফুটবলারদের সাথে খেলার আহবান জানায় তাকে।
এরইমধ্যে একটি টিভি সিরিজের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম ফুটবলার লিওনেল মেসিরও সান্নিধ্য পেয়েছেন তিনি। কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে বার্সেলোনার প্লেয়ার ভিক্টর ভালদেস, আদ্রিয়ানো ও দ্যানিয়েল আলভেজের।