
বিএনপি নেতাদের উপর দমন-পীড়ন, হত্যা-নির্যাতন ও মামলা-হামলায় চলমান আন্দোলন আরও বেগবান হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ মুঠোফোনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, এখনও সময় আছে, সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, বিএনপির সকল নেতা-কর্মীর মুক্তি দিয়ে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন এবং নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিন। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলে দিতে চাই, বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর শত দমন-পীড়ন, হত্যা-নির্যাতন ও মামলা-হামলা করে চলমান আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। এ আন্দোলন আরও বেগবান হবে।
বিরোধী দলীয় নেতাকে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার আহ্বান জানানোয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে সবিনয়ে বলতে চাই, পেটুয়া পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী লীগের দানবের সঙ্গে শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকারীদের লড়াই করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী এখন ক্ষমতার উত্তাপে অন্ধ হয়ে গেছেন।
বিরোধী দলের অফিস ভাঙচুর করায়, আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি অভিযোগ করে তিনি বলেন, র্যাব-পুলিশ-বিজিবি পরিবেষ্টিত আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে।দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও তছনছ করে দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের অফিস ভাঙচুর করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা ক্ষমতাসীনদের বর্ণাঢ্য ঐতিহ্য।
সরকার জনগেণর সাথে প্রতারণা করে চলেছেন সরকারের প্রতি অভিযোগ করে আরও বলেন, একদিকে সরকার মুখে সংলাপের কথা বলছে। অন্যদিকে তারা প্রতিনিয়ত রাজপথে অজস্র বুলেটে ঝাঁঝরা করছে গণতন্ত্রকামী মানুষের বুক। প্রধানমন্ত্রী ও নেতা-মন্ত্রীরা আলোচনা ও সংলাপের মালা জপতে জপতে দেশবসীর সঙ্গে প্রতারণায় লিপ্ত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর শনিবার ভোর ৪টায় বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কার্যালয় থেকে ডিবি পুলিশ দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আটক করে। এ ঘটনার পর দলের আরেক যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে কার্যালয়ের দায়িত্ব প্রদান করা হলেও গ্রেপ্তার আতংকে তিনি কার্যালয়ে আসছেন না। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে থেকেই দলের দায়িত্ব পালন ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
মুঠোফোনে কথা বলে ও বিবৃতির মধ্য দিয়ে দলের অবস্থান দেশবাসী ও নেতা-কর্মীদেরকে জানাচ্ছেন বলেও গণমাধ্যমকে জানান তিনি।
এমআর/