
অবরোধের কারণে ফরিদপুর জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারে কাঁচা পণেরর মূল্য বেড়ে গেছে। কোনো কোনো পণ্যের মূল্য হয়ে গেছে দ্বিগুণ। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। নির্ধারিত আয়ের ক্রেতাদের পক্ষে বাজারের এ উচ্চমূল্যের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অবরোধের কারণে বাইরের জেলাগুলো থেকে পণ্য আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাজারে কাঁচা পণ্যের বড় সংকট তৈরি হয়েছে। আবার কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে নসিমন যোগে কিছু কিছু পণ্য আনলেও পরিবহন খরচ পড়ে যাচ্ছে দুই থেকে তিনগুণ। তাই স্বাভাবিক ভাবেই আড়তদারদের বাড়তি মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে কাঁচা পণ। ফলশ্রুতিতে খুচরা বাজারে অনেক বেড়ে গেছে পণ্যের মূল্য। যদিও বাড়তি মূল্যের মাসুল গুণতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
আড়তদারদের দাবি, কাঁচা মরিচ দ্বিগুণ দামে, পেঁয়াজ, আদা ও আলুতে দাম বেড়েছে ১০ খেকে ১৫ টাকা। এছাড়া প্রায় সকল পণ্যেরই দাম ৪ থেকে ৬ টাকা বেড়ে গেছে। তাদের মতে, অবরোধের কারণে ট্রাক ঢুকতে না পারাই এ মূল্য বাড়ার প্রধান কারণ।
ক্রেতাদের মতে, নিত্যপণ্যের দার বাড়ায় সাধারণ ভোক্তাদের উপর। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে।
তবে, আশার কথা হচ্ছে, কাঁচা বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়লেও চাউলের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে অসহায় নিম্নবিত্তের মানুষগুলো আরও বেশি অসহায় হয়ে পড়বে। তাই এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ জরুরি বলে মনে করছেন সকলেই।
এআর