

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাব-রেজিস্ট্রার তনু রায় গত ৭ জুলাই আলফাডাঙ্গা সাব-রেজিষ্টার অফিসে যোগদান করার পর থেকে একের পর এক অনিয়ম করে আসছেন। এ ব্যাপারে দলিল লেখক মো. আবুল বাশার, মো. শওকত, মো. কালাম মো. মাকিত, মো. রিপন ফকির, মো. শহিদুল মুন্সি, মো. আসলাম, মো. বাচ্চু, মো. আমিনুর রহমান জানান, জমির সমস্ত কাগজ পত্র সঠিক থাকলেও তনু রায় দলিল করেন না। কাগজ-পত্র জাল-ভুয়া বলে জমির দাতাদের ফিরিয়ে দেন তিনি। পরক্ষণে অফিসের নকল-নবীশ মনজেল এর মাধ্যমে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে জমির দলিল করে দেন।
এ ছাড়াও ওই সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছে। সাব-রেজিস্ট্রার যোগদানের পর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পযর্ন্ত অফিসের সময় সূচি ঘোষণা করেন। ফলে দলিল লেখকসহ দাতা-গ্রহিতারা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গত ১০ নভেম্বর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের দাতা মো. আলমগীর হোসেন গ্রহিতা মো. মহাসিন এর দলিল লেখতে একটু বিলম্ব হওয়ায় কারণে সাব-রেজিস্ট্রার জমির দলিল রেজিস্ট্রার করেননি এবং আগামি দিন আসেন বলে ফিরিয়ে দেন- এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। বিআরডিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন সিকদার বলেন, তার একটি দলিল রেজিস্ট্রার করতে ওই সাব-রেজিস্ট্রার ৭ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
গত ২০ অক্টোবর এড. মিরাজ শরিফের ২১৮৫ নং ঘোষণা দলিলে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। ৩ নভেম্বর মালা গ্রামের নবাব আলী খান ২৩০৪ নং কবলা দলিল দাখিল করতে এলে বিনা কারণে সাব-রেজিস্ট্রার তনু বায় তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আলফাডাঙ্গা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ. মান্নান (আব্বাস) বলেন, ২০ কি.মি. দূরের পাচুড়িয়া গ্রাম থেকে আসা একশত বছরের এক বৃদ্ধা মহিলার দলিল পাঁচ মিনিট (৩টা-৫মি.) বিলম্ব হওয়ায় দলিল রেজিস্ট্রার করেননি।
এ প্রসঙ্গে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. শাহাদত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, উক্ত সাব-রেজিস্ট্রারকে প্রতি লাখে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কারণে দলিল রেজিস্ট্রার সংখ্যা কমে যাওয়ায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রার তনু রায় সাংবাদিকদের বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অসত্য। “যেসব দলিল লেখক গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করবে আমি তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেব।
এআর