
রাশিয়া বাংলাদেশের পোশাকখাত সহ চামড়া, পাটজাত দ্রব্য, হিমায়িত মাছ, ঔষধ শিল্পসহ সব ধরনের পণ্যের একটি সম্ভাবনাময় বাজার। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য সরকারি এবং বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিআইএস-বিসিসিআই) সভাপতি হাবীব উল্লাহ ডন।
সিআইএস-বিসিসিআই সভাপতি হাবীব উল্লাহ ডন ও পরিচালনা পর্ষদের নবনির্বাচিত সদস্যবৃন্দ বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়া ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগনাতোভের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি সিআইএস চেম্বার রাশয়িা-বাংলাদেশের আন্ত-ব্যাংকিং সুবিধাসহ মালামাল পরিবহণে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য দুই দেশের সরকার যাতে প্রচেষ্টা অব্যহত রাখে সে লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান।
হাবীব উল্লাহ ডন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রাশিয়া-বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায় বাণিজ্য ও সহায়তার ক্ষেত্র ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, বর্তমানে রাশিয়া সরকারের মাধ্যমে এই সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
রপ্তানি নীতির বাজার বহুমুখীকরণে প্রচেষ্টা হিসেবে রাশিয়াকে একটি সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে চিহ্নিত করেন; এছাড়া সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি পারস্পরিক দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্যও তার চেম্বার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগনাতোভ সিআইএস চেম্বারের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষ দিকে আন্তঃসরকার কমিশনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সভায় দু’দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বিরাজমান প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান সম্ভব হবে।
এছাড়া সিআইএস চেম্বারকে তিনি এ লক্ষ্যে কৌশলপত্র প্রণয়ন করে তা উভয় সরকারকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি রাশিয়ান বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানী পন্য বিশেষ করে ঔষধ পণ্যের চাহিদার কথা তুলে ধরে এ বিষয়ে যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব করেন।
এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিআইএস-বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীন, পরিচালক মাহবুব ইসলাম রুনু, মঞ্জুর আহমেদ, ফারুক আহমেদ, ডক্টর লকিয়্যত উল্লাহ, হেলেনা জাহাঙ্গীর, রায়হান আজাদ, আমজাদ হুসাইন, মাসুদ কাদের মনা, ইঞ্জিঃ মেহেদী হাসান, শামীম রেজা, সচিব মুস্তফা মহিউদ্দীন প্রমুখ।
অর্থসূচক/বিজ্ঞপ্তি/মুন্নাফ