
বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী এখন চলছে আষাঢ় মাস। ষড়ঋতুর হিসাব অনুযায়ী এই সময় বর্ষাকাল হলেও এখনও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। উল্টো চরম মাত্রায় পৌঁছেছে গরম। এ সময় মানবদেহের জন্য উপকারী একটি ফল তরমুজ। এটি গ্রীষ্মকালের ফল; তবে এখনও রাজধানীর বাজারে এখনও প্রচুর তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। আকর্ষণীয় রঙ আর রসালো মিষ্টি স্বাদের জন্য ছোট বড় সবাই তরমুজ খেতে ভালোবাসে।

তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তরমুজ খেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত অসুস্থতা কমে যায়। এছাড়া নিয়মিত তরমুজ খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
* তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি আছে। গরমের সময় যখন ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় তখন তরমুজ খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়। ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও সতেজ।
* তরমুজে আছে ক্যারোটিনয়েড। আর তাই নিয়মিত তরমুজ খেতে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যারটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
* তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি কিন্তু এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। আর তাই তরমুজ খেলে পেট ভরে যায় কিন্তু সেই অনুযায়ী তেমন কোনো ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করে না। ফলে তরমুজ খেয়ে পেট পুরে ফেললে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
* টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা যৌনশক্তির দিক থেকে দুর্বল তাদের জন্য তরমুজ প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। একটি তরমুজে প্রচুর পরিমাণে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো এসিড থাকে যা ভায়াগ্রার বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
তরমুজ এর আছে অনেক পুষ্টিগুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তরমুজে রয়েছে ৯২ থেকে ৯৫ গ্রাম পানি, আঁশ ০.২ গ্রাম, আমিষ ০.৫ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, ক্যালোরি ১৫ থেকে ১৬ মি.গ্রাম। । এছাড়া তরমুজে ক্যালসিয়াম রয়েছে ১০ মি.গ্রাম,আয়রন ৭.৯ মি.গ্রাম, কার্বহাইড্রেট ৩.৫ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.২ গ্রাম, ফসফরাস ১২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ও ভিটামিন বি২।
অর্থসূচক/এমই/